Digha Jagannath temple | দিঘা মন্দিরে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘শাস্তি পেলেন’ দ্বৈতাপতি, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

Digha Jagannath temple | দিঘা মন্দিরে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘শাস্তি পেলেন’ দ্বৈতাপতি, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) উদ্বোধনে এসে বড় শাস্তি পেলেন পুরীর জগন্নাথ ধামের সেবায়েত দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র (Senior servitor Ramakrishna Das Mohapatra)। বর্ষীয়ান এই সেবায়েতকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করল এসজেটিএ। এসজেটিএর প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধীর এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আগামী একমাসের জন্য পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন না পুরীর জগন্নাথ ধামের দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র। এই নিয়ম যতদিন চলছে ততদিন তিনি কাউকে হুমকি কিংবা প্রভাবিত করতে পারবেন না। যদি তিনি তা করেন, তাহলে বরখাস্তের সময় আরও বাড়ানো হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দির। সেই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র। উদ্বোধনের পর তিনি ওডিশায় (Odisha) ফিরতেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ২০১৫ সালে নবকলেবর উৎসবের সময় সংগৃহীত কাঠ কেন দিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি করার জন্য?  জবাবে তিনি বলেছিলেন, তিনি এমন কাজ করেন নি। ওডিশা সরকার তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারেন, দ্বৈতাপতি মিথ্যে কথা বলছেন। দিঘার মন্দিরের মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন ভুবনেশ্বরের একজন শিল্পী। সঙ্গে এও জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি পুরীর মন্দিরের সেবায়েত হওয়া সত্ত্বেও কেন দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে হাজির ছিলেন?

এরপর সবটা কড়া হাতে দমন করে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের প্রধান প্রশাসক পাধী জানান, মন্দিরের সব সেবায়েতদের একটা বার্তাই দিতে চাই, পুরীর জগন্নাথ (Puri Jagannath Mandir) মন্দিরের আচার, অনুষ্ঠান, মর্যাদা এবং নিয়মাবলী আগামীতে যেন মেনে চলেন।’

অন্যদিকে, দ্বৈতাপতিকে শাস্তি দিতেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP Chief Shuvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘দিঘা জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার বিতর্কে অনৈতিকভাবে জড়িত থাকায় দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। পুরীর মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ ধামের পবিত্র রীতি-নিয়ম পালনের বিষয়ে তিনিই সব জানান। পরে স্থানীয় প্রশাসন অপপ্রচার শুরু করে। দিঘা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে পুরীর জগন্নাথ ধামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ধর্মীয় ভাবাবেগে রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র আঘাত করেছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *