ধূপগুড়ি: জঙ্গল লাগোয়া জমিতে কাজ করার সময় চিতাবাঘের হামলায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। নাম আমাতু রায়। তার দুই হাতে আঘাত লেগেছে। কোনও ক্রমে ছুটে প্রাণ বাঁচান তিনি। পরে তাকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। চিতাবাঘের হানা ঘটলেও বনদপ্তরের গধেয়ারকুঠি বিট বা নাথুয়া রেঞ্জের কাউকেই কিছুই জানায়নি জখম ব্যক্তির পরিবার। এমনকি জয়েন্ট ফরেষ্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির কেউই ঘটনার সম্পর্কে কিছু বলতে পারছে না৷
বনদপ্তর সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি সংরক্ষিত জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। সঙ্গে থাকা বাকীরা চিতাবাঘ দেখতে পেয়েই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গলের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। তারপরও অনেকে লুকিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে। যদি জঙ্গলে ঢোকার পর কেউ বন্যপ্রাণীর হানায় আহত হয় তাহলে যেমন ক্ষতিপূরণ পাবে না, তেমনি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। তবে আহতের ভাইপো দীপঙ্কর রায় জানান, নিজের জমিতেই কাজ করার সময়ই জ্যেঠুর ওপর চিতাবাঘ ঝাপিয়ে পড়ে। নাথুয়া রেঞ্জার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, ‘ঘটনার কথা কেউই জানায় নি। নিজেরাই শুনতে পেয়ে খোজখবর করা নিয়েছি। তাতেই জানা গেছে, গধেয়ারকুঠি জঙ্গলে চিতাবাঘের হানায় একজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’