DHR | ডিএইচআরের পরিকাঠামোর খোঁজ নেবে স্ট্যান্ডিং কমিটি, আজ শিলিগুড়িতে চার সদস্যের দল

DHR | ডিএইচআরের পরিকাঠামোর খোঁজ নেবে স্ট্যান্ডিং কমিটি, আজ শিলিগুড়িতে চার সদস্যের দল

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি : দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে পরিদর্শনে শিলিগুড়িতে আসছে পার্লামেন্টের রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি। বৃহস্পতিবার ওই কমিটির চার সদস্যের একটি দলের শিলিগুড়িতে আসার কথা। এখান থেকে সড়কপথে তাঁরা চলে যাবেন ঘুম স্টেশনে। সেখানে জয়রাইডে ঘুম থেকে বাতাসিয়া হয়ে আবার ঘুমে ফিরবেন তাঁরা। ঘুম স্টেশনে বৈঠকের পর কার্সিয়াংয়ের দিকে যাবেন ওই দলের সদস্যরা। তাঁদের পরিদর্শনের আগে ঘুম স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। স্টেশন সংলগ্ন এলাকা এবং ইয়ার্ডে যত ওয়াগন এবং কামরা পড়ে ছিল সবগুলি মেরামত করে রং করা হয়েছে। স্টেশন পরিদর্শনের পর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার, ডিএইচআরের ডিরেক্টর সহ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। ডিএইচআরের ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পার্লামেন্টারি কমিটির পরিদর্শন রয়েছে। সারা বছরের আয়-ব্যয়, পরিষেবা কীরকম, সেসব নিয়ে খোঁজ নেবেন তাঁরা।’

গত কয়েক বছরে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন, বৃষ্টি ও ধসের কারণে টয়ট্রেন পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। এগুলির সমাধান হলেও পরবর্তীতে ইঞ্জিনের সমস্যার জন্য প্রায়ই এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে রেলকে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও চারটি নতুন ডিজেল ইঞ্জিন কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল। ডিএইচআরকে বিশ্বের দরবারে আরও জনপ্রিয় করতে বছরে দু’বার ঘুম ফেস্টিভালেরও আয়োজন করা হচ্ছে।

২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে ডিএইচআরে মোট যাত্রী সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৩৫। এই অর্থবর্ষে ডিএইচআরের আয় হয়েছিল প্রায় ১৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে যাত্রীসংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ১০৫। এই অর্থবর্ষে আয় হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে যাত্রী সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩। আয় হয়েছে প্রায় ২২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, কমিটির কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরবে ডিএইচআর।

পাশাপাশি পরিকাঠামো নিয়েও খোঁজ নেওয়ার কথা রয়েছে কমিটির। তাই যে যে এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন, সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করে ওই কমিটিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডিএইচআর কর্মীদের একাংশ। এই তালিকায় তিনধারিয়া রেল ওয়ার্কশপকেও রাখার দাবি উঠেছে। কারণ এখানেই একসময় টয়ট্রেনের বেশিরভাগ যন্ত্র তৈরি করা হত। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রেলকর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *