উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ (Molestation) উঠল এক আশ্রমের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি বিখ্যাত আশ্রমের (Delhi)। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী (Swami Chaitanyananda Saraswati) বর্তমানে পলাতক। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে পুলিশ। যাতে তিনি কোনওমতেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন।
জানা গিয়েছে, স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আশ্রম দ্বারা পরিচালিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩২ জন ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ, অশ্লীল মেসেজ করা, শরীরে অশালীনভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছেক। ঘটনাস্থলের পাশাপাশি অভিযুক্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে অভিযোগকারিণীদের ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কারণ গাড়িটিতে নকল কূটনৈতিক নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। সেটি অভিযুক্ত কীভাবে পেলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, শেষ পাওয়া লোকেশন অনুযায়ী তাঁর অবস্থান ছিল আগ্রা। দিল্লি পুলিশের দল তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চৈতন্যানন্দ ওরফে পার্থসারথীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৬ সালেও এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিকে, চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠতেই আশ্রমের তরফে বিবৃতি জারি করে তাঁকে পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।