নয়াদিল্লি: আগামী বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে ভূতুড়ে ভোটার তালিকা এবং সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র বা এপিকই হতে চলেছে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। এই ইস্যুতে মোদি সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আন্দোলনে নামতে চাইছে তৃণমূল। আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে শাসকদল আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েই এগোতে চাইছে। শাসক শিবিরকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এপিক ইস্যুতে আলোচনার সিদ্ধান্ত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে তৃণমূল। দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অহেতুক বিশৃঙ্খলা তৈরি না করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা হবে।
তৃণমূল মনে করছে, এপিক কার্ডের ভুয়ো ব্যবহার চলতি অধিবেশনের অন্যতম বড় ইস্যু হতে চলেছে। দলীয় সূত্রের খবর, অন্যান্য ইস্যুর গুরুত্ব ছোট করে দেখা হবে না, তবে এপিক থাকবে শীর্ষে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করব। তারপর পিকচার আভি বাকি হ্যায়, অর্থাৎ এরপর আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে।’ গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় এপিক ইস্যুতে আলোচনা চেয়েছিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই আলোচনা শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লোকসভায় এপিক নিয়ে সরব হতে চান।
এদিকে লোকসভার সাংসদ বাপি হালদার মনরেগা ইস্যুতে কেন্দ্রের জবাবদিহি চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উত্তরকে ভিত্তি করে তৃণমূল স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ দিতে চলেছে।