Darjeeling Tea | ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যনীতি, নতুন স্বপ্ন ভারতীয় চায়ে

Darjeeling Tea | ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যনীতি, নতুন স্বপ্ন ভারতীয় চায়ে

শিক্ষা
Spread the love


নাগরাকাটা: ব্রিটিশদের হাত ধরে শুরু হওয়া উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের ইতিহাস সার্ধশতবর্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে। ২০২৩-এ রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানেও ঠাঁই করে নিয়েছিল দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ি চা। একাধিক নথি বলছে, বাঙালিকে চায়ের নেশা ধরিয়ে দেওয়ার পিছনে কারিগর ইংরেজরাই। সেই সাগরপারের ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্যের প্রস্তাবিত চুক্তিতে (কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড ইকনমিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট) আশার আলো দেখছে ডুয়ার্স, তরাই ও পাহাড়। চা শিল্প মহলের আশা, এবার আরও বেশি পরিমাণে চা টেমসের পাড়ে রপ্তানি সম্ভব হবে।

লন্ডনে উত্তরবঙ্গ সহ অসমের চা রপ্তানি নতুন কিছু নয়। দেশের মোট রপ্তানির ৫.৬ শতাংশের দখল রয়েছে ব্রিটেনের বাজারে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিটেন সফরে দু’দেশের মুক্ত বাণিজ্যনীতি কার্যকর হওয়ার বিষয়টিতে সিলমোহর পড়ে। এতেই আশার আলো দেখছে চা শিল্প মহল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টিকে ভারতীয় চা রপ্তানিকারকদের বড় জয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

দেশীয় চায়ের অন্যতম রপ্তানিকারক সংস্থা এশিয়ান টি কোম্পানির নির্দেশক মোহিত আগরওয়াল বলেন, ‘শূন্য শুল্কের বাণিজ্য অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, সেই ধরনের উৎপাদনই করতে হবে যা ব্রিটেনে গ্রহণযোগ্য। সেদেশে যে সমস্ত রাসায়নিকের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে সেসব বর্জিত উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়াই অগ্রাধিকার।’

দেশের অন্যতম কুলিন চা শিল্প গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত গুডরিক-এর দার্জিলিং ও ডুয়ার্স মিলিয়ে মোট ১৫টি চা বাগান রয়েছে। কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার জীবন পান্ডে বলেন, ‘দেশীয় চা শিল্প বর্তমানে নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলির পরিস্থিতি ভালো নয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি পাহাড়ের চা শিল্পকে নতুন করে অক্সিজেন জোগাতে পারে বলে বিশ্বাস করি।’

ভারতীয় পণ্যের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বৃদ্ধি করায় ঘুরপথে ব্রিেটন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হয়ে সে দেশে চা রপ্তানির পথ খুলতে পারে বলে মনে করছে দেশীয় চা মহল। উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট চা শিল্পপতি সুশীল বেরিলিয়া বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের বাগানগুলির পরিস্থিতি শোচনীয়। এমন অবস্থায় ব্রিটেনে যদি এখানকার চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি পায় তবে তা যে অত্যন্ত ভালো হবে সংশয় নেই। সেই সুবাদে ব্রিটেন থেকে ভারতীয় চা আমেরিকা পাড়ি দিলে আমাদেরও লাভ। তবে সব কিছুই আরও সময় না গেলে স্পষ্ট বোঝা যাবে না।’

জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলছেন, ‘ব্রিটেনে চায়ের চাহিদা যথেষ্ট। ওখানকার মানুষ অর্থোডক্স চা পছন্দ করেন, যা দার্জিলিং ও অসমে তৈরি হয়। পাশাপাশি ভালো বাজার রয়েছে হাতে তৈরি স্পেশাল চায়ের। সেটা উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা বর্তমানে তৈরি করছেন। সেদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে মশলা চা ও সিটিসি চায়ের। ফলে সব মিলিয়ে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলেই বিশ্বাস করি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *