বিধান ঘোষ ও বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, হিলি ও পতিরাম: মাদক পাচার কাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়ল হুন্ডি ব্যবসায়ী। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur Information) পতিরাম ও হিলি থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ত্রিমোহিনীর এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের একটি বেআইনি ঠেকে হানা দিয়ে পুলিশ এই সাফল্য পায়। সীমান্ত এলাকায় অসাধু ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার পরেই চক্রের শিকড়ে পৌঁছাতে উদগ্রীব পুলিশকর্তারা।
জানুয়ারি মাসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ইনজেকশন বাজেয়াপ্ত করে পতিরাম থানার পুলিশ। ঘটনায় পঁাচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই হিলি থানার বাসিন্দা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পতিরাম থানার পুলিশ। তদন্তে হিলি থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গির মণ্ডল নামে চঁাইয়ের তথ্য উঠে আসে। তারপরেই শুক্রবার দুপুরে পুলিশের একটি বিশেষ দল কঁাটাতারের ওপার থেকে জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করে। জাহাঙ্গিরকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পতিরাম থানার পুলিশ। তাতেই মাদক পাচার চক্রের খোলস খুলে যায়। ঘটনায় শনিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করে পতিরাম থানার পুলিশ। মাদক পাচার চক্রে ব্যবহৃত অবৈধ আর্থিক লেনদেনের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে পতিরাম ও হিলি থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ত্রিমোহিনীর অবৈধ টাকা লেনদেনের ঠেক থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত দুলাল মহন্ত হিলি থানার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই মাদকের মূল্য ও বাংলাদেশে পাচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতীয় মুদ্রায় ৫ লক্ষ টাকা দুলাল মহন্তের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারপরে দুলাল মহন্ত ওই টাকা মাদক পাচারকারীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল। সোমবার দুপুরে তাকে বালুরঘাট আদালতে পেশ করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পঁাচদিনের জন্য পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে মাদক পাচার কাণ্ডে জাল কার্যত গুটিয়ে ফেলতে সমর্থ হয়েছে তদন্তকারী। শনিবার থেকে ৯ দিনের পুলিশি হেপাজতে রয়েছে জাহাঙ্গির। রবিবার থেকে প্রদীপ পাল ও শিউল বিবি নামে দু’জনকে নয়দিনের হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘পতিরাম থানা এলাকার একটি মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্তের ঘটনায় দুলাল মহন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে আজ আদালতে পেশ করে হেপাজতের আবেদন করা হয়েছে। পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।’
