CPM প্রার্থীদের আবেদনে সাড়া, মেদিনীপুর কো-অপারেটিভ ভোটে মনোনয়ন জমার দিন বাড়াল কোর্ট

CPM প্রার্থীদের আবেদনে সাড়া, মেদিনীপুর কো-অপারেটিভ ভোটে মনোনয়ন জমার দিন বাড়াল কোর্ট

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সম‌্যক খান, মেদিনীপুর: নাটকীয় মোড় নিল পিপলস কো-অপারেটিভ নির্বাচন। জল গড়াল আদালত পর্যন্ত। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও ফর্ম তুলতে না পারায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন সিপিএমের চার প্রার্থী। আদালত ওই চারজনকে আগামী বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা সিপিএম নেতা কীর্ত্তি দে বক্সী বলেছেন, “এটা আমাদের আংশিক জয়। ওই চারজনের মনোনয়ন জমা নেওয়ার জন‌্য রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

নির্বাচনী নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, গত সোমবার ও মঙ্গলবার মনোনয়নের জন‌্য ফর্ম তোলার দিন নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু দুদিনই দুপক্ষের গণ্ডগোল ও অশান্তির জেরে বিরোধীরা ফর্ম তুলতে পারেনি বলে অভিযোগ। পরপর দুদিন ফর্ম তুলতে ব‌্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএমের সুকুমার আচার্য‌্য, সোমনাথ দে, উত্তম চক্রবর্ত্তী ও অজয় মিত্র। আদালতের নির্দেশে তাঁরা বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন কীর্ত্তিবাবু। তিনি বলেছেন, “শাসকদলের যে কোনও জনভিত্তি নেই তা তারা বুঝে গিয়েছে। ভোট হলে গোহারা হারবে। দশবছর আগে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনের দিনও চরম সন্ত্রাস করা হয়েছিল। এবার তো মনোনয়নই তুলতে দেয়নি।” অবাধ ভোট হলে ব‌্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডাররা বামপন্থীদেরই ভোট দেবেন বলে দাবি করেছেন কীর্তিবাবু।

কীর্ত্তিবাবুরা অভিযোগ তুলেছেন, প্রথমদিন তাঁদের অস্থায়ী ক‌্যাম্প ভাঙচুর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর পরদিন রাস্তাতেই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়। তৃণমূল বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, “প্রার্থী না পেয়ে বিরোধীরা মিথ‌্যা অভিযোগ তুলছে। আমরা যদি বিরোধী কাউকে ফর্ম তুলতেই না দিই তাহলে ৫১টি আসনের জন‌্য ৬৮টি ফর্ম তোলা হল কীভাবে? আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

মঙ্গলবার ও বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। নির্বাচনের রিটানিং অফিসার তথা এআরসিএস দেবাঞ্জন সেন জানিয়েছেন, এদিন পর্যন্ত মোট ৫৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসকদলের পক্ষ থেকেই কিছু বেশি ফর্ম তুলে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পাঁচজনকে ডামি প্রার্থী করে রাখা হয়েছে। পরে প্রয়োজন না পড়লে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *