স্বপনকুমার চক্রবর্তী, বামনগোলা: শীত আর কুয়াশার সুযোগে কখনও মোবাইল, কখনও জাল নোট, আবার কখনও গবাদিপশু পাচার হচ্ছে সীমান্তে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিএসফের তৎপরতার কারণে পাচারের ছক বানচাল হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেও বামনগোলা ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আদাডাঙা ও শোনঘাটের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে গবাদিপশু পাচারে তৎপর হয়েছিল চোরাকারবারিরা। কিন্তু বিএসএফের তৎপরতায় বানচাল হয়ে যায় পাচারকারীদের কৌশল। বিএসএফ মুখ না খুললেও গ্রামবাসীদের দাবি, পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি গবাদিপশু।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বারংবার সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে চোরাকারবারিরা। কিন্তু বারবারই সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতায় ভেস্তে যাচ্ছে পাচারকারীদের ছক। জানা গিয়েছে, আদাডাঙা ও শোনঘাটের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বেশ কয়েকজন চোরাকারবারি সীমান্ত পেরোনোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছিল। তখন কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের নজরে এলে তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু তারপরও দুষ্কৃতীরা সীমান্তের দিকে এগোতে থাকে। তখন কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাড়া করেন পাচারকারীদের। অবশেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে পাচারকারীদের দল অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অনেকেই জানিয়েছেন, বিএসএফ সেখানে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি গবাদিপশু উদ্ধার করেছে।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার সূত্রের খবর, প্রায় প্রতিদিনই মালদার কোনও না কোনও সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সাহসিকতার সঙ্গে পাচারকারীদের রুখে দিচ্ছে। মাঝেমধ্যেই গবাদিপশু উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। এছাড়াও আক্রমণাত্মক পাচারকারীদের থেকে আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে কখনও কখনও গুলি চালাতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
কর্তব্যের পথে আক্রমণের মুখোমুখির মতো ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিএসএফ জওয়ানরা অসাধারণ সাহস এবং সতর্কতার সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছে।