মানিকগঞ্জ: স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায় (Couple Dying)। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় দম্পতির এমন পরিণতিতে হতভম্ব প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজা বেরুবাড়ি (Kharija Berubari) গ্রাম পঞ্চায়েতের অমরখানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত স্বামীর নাম সঞ্জিত রায় (২২) এবং স্ত্রীর নাম কাকলি রায় (২০)। মৃত সঞ্জিতের বাবা সত্যেন রায় জানান, বুধবার দুপুরের তিনি ও তাঁর স্ত্রী এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ছেলে ও বৌমারও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন বৌমার মোবাইল বাড়ির উঠোনে পড়ে রয়েছে। তাঁদের ঘরের আলো জ্বললেও দরজা বন্ধ ছিল। তাঁদের ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। এরপর সঞ্জিতের মা সাধনা রায় দরজার নীচে থাকা ফাঁক দিয়ে উঁকি মারেন। তারপরই দেখেন ছেলে ও বৌমার দেহ ঘরের ফ্যান থেকে ঝুলছে। একই দড়ি দুজনের গলা পেঁচিয়ে ছিল। তড়িঘড়ি দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করা হলেও, তখন তাঁদের দেহে প্রাণ ছিল না।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেলে পাঠিয়েছে। তবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারেরই এক সদস্য বলেন, ‘সুখের সংসার ছিল তাঁদের। সবসময় মিলেমিশে থাকত। তারপরেও এমন চরম সিদ্ধান্ত কেন নিল বুঝতে পারছি না।’ ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।