দিনহাটাঃ ট্রেনের পার্সেল ভ্যান থেকে উদ্ধার হল বস্তায় বস্তায় নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। মঙ্গলবার দিনহাটা স্টেশনে ট্রেন থেকে ওষুধের বস্তাগুলি নামতেই সেগুলি উদ্ধার করে আরপিএফ ও জিআরপি। এই নিষিদ্ধ নেশার ওষুধগুলি ট্রেনের পার্সেল বুকিং করে অন্যত্র পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। এই কারবারে কে বা কারা যুক্ত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কিছুদিন আগে এক্সপ্রেস ট্রেনের পার্সেল ভ্যান থেকে উদ্ধার হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ট্রেনের পার্সেল ভ্যান থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমানে নেশার ওষুধ। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিয়ালদহ-বামনহাটগামী উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস দিনহাটা স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের পার্সেল ভ্যান থেকে ১৫টি বড় বড় বস্তা নামানো হয়, যেগুলি মেডিসিন হিসেবে বুক করা ছিল। বিষয়টি নজরে আসে আরপিএফের। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় বস্তাগুলি খুলে দেখা হয়। তাঁরা দেখেন বস্তার ভিতরে থাকা কার্টনে রয়েছে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ।
রেল পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মোট ১৫টি বস্তায় ছিল ৩০টি কার্টন। প্রতিটি কার্টুনে ছিল ৩০০টি করে বোতল। ফলে মোট ৯০০০ বোতল বা আনুমানিক ৯০০ লিটার কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই কফ সিরাপগুলির বাজার মূল্য ১৯ লক্ষ টাকার বেশি। ঘটনার পরপরই জিআরপি নির্দিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে নিউ কোচবিহার জিআরপি থানার আইসি মন্টু বর্মন জানান, সকাল দশটায় তাঁদের কাছে এই খবর আসে। এরপর স্টেশন মাস্টারকে রিকুইজেশন দিয়ে পার্সেলগুলি খোলা হয়। তাতে প্রচুর পরিমাণ কাফ সিরাপ মেলে। তবে তদন্তের স্বার্থে কার নামে এই মেডিকেল পার্সেল বুকিং করা হয়েছে, তা প্রকাশ করতে চাননি মন্টু বর্মন। তবে কীভাবে রেলের নিরাপওা বলয় পেরিয়ে শিয়ালদহ থেকে দিনহাটা পর্যন্ত এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরপিএফ এর এএসআই সুশান্ত রায়ের কথায়, তদন্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিনভর যাত্রী আনাগোনা ব্যস্ত থাকে শিয়ালদহ স্টেশন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অবৈধ কাফ সিরাপ ভর্তি বাক্স উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে পৌঁছাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।