উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ১৪ দিনে ৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানেও। কাফ সিরাপ খেয়েই কিডনি বিকল হয়েই এতগুলি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনই অভিযোগ সামনে আসতেই টনক নড়েছে কেন্দ্রের। এর পরেই শিশুদের ক্ষেত্রে কাফ সিরাপ প্রেসস্ক্রাইব করা নিয়ে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেসের (DGHS) তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়া যাবে না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ৫ বছরের কম বা তার বেশি বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে সেই ওষুধ সঠিক কাজ করছে কি না সে দিকে নজর রাখতে হবে। এ ছাড়াও ওই ওষুধের সঙ্গে রোগীর অন্য কোনও ওষুধ চলছে কি না, তাও খেয়াল রাখতে হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকার পরেই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে DGHS চিঠি পাঠিয়েছেন সুনীতা শর্মা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুধু কাফ সিরাপ নয়, সর্দিকাশির ওষুধ ২ বছরের নীচে ব্যবহার না করাই উচিত। কারণ, ৫ বছরের নীচে এই ধরনের অ্যান্টিটাসিভ ও অ্যান্টিঅ্যালার্জিক কম্বিনেশনের ওষুধ রেকমেন্ডেড নয়। তার বেশি বয়স হলেও প্রেসক্রিপশনে সাবধানে সর্দিকাশির ওষুধ লিখতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের। কারণ, ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলো কয়েকদিনের মধ্যে ওষুধ ছাড়াই কমে যায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, কাশির সিরাপগুলোর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এতে ডাইথিলিন গ্লাইকল (ডিইজি) বা ইথিলিন গ্লাইকল (ইজি) নেই। এই উপাদানগুলো কিডনির গুরুতর ক্ষতি করে। সুতরাং, কাফ সিরাপগুলো থেকে বিষক্রিয়া হওয়ার বা কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু তার পরেও সচেতন থাকতে হবে।
ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি), সেন্টার ড্রাগ স্টান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) একসঙ্গে কাফ সিরাপগুলোর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে। সেখানে উঠে এসেছে এই তথ্য — কাফ সিরাপে কোনও বিষাক্ত পদার্থ নেই।