কোচবিহার: গরম পড়তেই শহরে ফলের দোকানগুলিতে আমের পাশাপাশি আনারসেরও বিক্রি বেড়েছে। বাজারে একসময় নিউ কোচবিহারের আনারসের চাহিদা থাকলেও, ইদানীং সেই জায়গা দখল করেছে মেঘালয় এবং বিহারের আনারস। তবে বিক্রিতে বিহারের আনারসকে টেক্কা দিচ্ছে মেঘালয়ের আনারস। ভবানীগঞ্জ বাজার তো বটেই, সিলভার জুবিলি রোড, খাগড়াবাড়ি বাজার সহ বিভিন্ন ফলের দোকানে দেদারে বিক্রি হচ্ছে এই রসালো ফল।
ফল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বিহার এবং মেঘালয় থেকে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুটি ভ্যানে আনারস আসছে। মূলত বিহারের ঠাকুরগঞ্জ থেকে আনারস আসে। তবে বাজারে হাতেগোনা দু’-একটি দোকানে বিহারের আনারস থাকলেও অধিকাংশ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে মেঘালয়ের আনারস। ঠাকুরগঞ্জের আনারসের তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় মেঘালয়ের আনারসের চাহিদা অনেকটাই বেশি। ফল বিক্রেতা উত্তম দাস বলেন, ‘মেঘালয়ের আনারস বেশ মিষ্টি। গন্ধও ভালো। সেকারণে নিউ কোচবিহার কিংবা বিহারের আনারসের তুলনায় এই জায়গার ফলের বিক্রি অনেকটাই বেশি।’ তবে, বিহারের আনারসের চাহিদাও রয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের ফল বিক্রেতা রাজকুমার বার্নোয়াল বলেন, ‘মেঘালয়ের আনারসের চেয়ে বিহারের ঠাকুরগঞ্জের আনারস আকারে একটু বড়। তাছাড়া বেশ মিষ্টি। ৮০ টাকায় এই ফল বিক্রি করছি।’
বাজারে এখন নিউ কোচবিহারের আনারসের চাহিদা কমেছে। ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে আনারস বিক্রি করছিলেন দিলীপ দাস। দুপুর ১২টা পেরোলেও তখনও বিক্রি না হওয়ায় আক্ষেপের সুরেই তিনি বললেন, ‘আগে এখানে বহু মানুষ আনারস চাষ করতেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে আনারস চাষ হত। দিন-দিন এখানে আনারসের চাষ কমছে।’
সাধারণত জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত আনারসের চাহিদা থাকে। প্রতিবছর গরম পড়তেই মেঘালয়, দার্জিলিং, বিহার এবং নিউ কোচবিহারের আনারস পাওয়া যায়। তবে প্রত্যেক বছরই মেঘালয়ের আনারসের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে। এদিন বাজারে আনারস কিনতে এসেছিলেন সুমিত দাস। তিনি বলেন, ‘গরমে আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাজারে মেঘালয়ের আনারসের চাহিদা থাকায় বাড়ি ফেরার পথে এদিন আনারস নিতেই হল।’