কোচবিহার: পিএফে কত টাকা জমেছে তা দেখতে এতদিন ভরসা ছিল শুধু স্কুলের ম্যানুয়াল লেজার। কিন্তু সেটাতে আপ-টু-ডেট হিসাব দেখা যেত না। পাশাপাশি, লোন নেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যা হত। তবে এবার সেই সমস্যার সুরাহা করতে মাথাভাঙ্গা মহকুমায় চালু হয়েছে অনলাইন জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ)। এতে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা মহকুমার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা যেমন পিএফে কত টাকা জমল সেটা খুব সহজে দেখতে পারবেন, তেমনি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগের থেকে তাঁদের অনেক সুবিধা হবে।
ইতিমধ্যে আবেদন করার দুইদিনের মধ্যেই গত ১০ জুন একজন পিএফের লোন পেয়েছেন এই ব্যবস্থায়। এতে খুশি সকলে। মাথাভাঙ্গার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মনোজকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি ২০২৩ সাল থেকে আমরা এই কাজ শুরু করি। অবশেষে মহকুমায় এটা আমরা চালু করতে পেরেছি।’
ওই মহকুমায় মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে প্রায় ২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। এই অবস্থায় মহকুমাটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য অনলাইন জিপিএফ চালু হওয়ায় খুশি সকলে। শীঘ্রই তুফানগঞ্জ মহকুমাতেও ওই অনলাইন জিপিএফ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
অনলাইন জিপিএফে ঠিক কী কী অতিরিক্ত সুযোগসুবিধা মিলছে? এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা যখন ইচ্ছে তাঁদের মোবাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপে গিয়ে টাকার আপ-টু-ডেট হিসাব দেখে নিতে পারবেন। এছাড়া, লোন নেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। এতদিন নিজেদের জমানো পিএফের উপর লোন নেওয়ার জন্য ম্যানুয়ালি আবেদন করতে হত। সেই প্রক্রিয়া যেমন জটিল ছিল তেমনি লোনের টাকা হাতে পেতে দুই-আড়াই মাস সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন অনলাইনে লোন আবেদন করার ৪-৫ দিনের মধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা তাদের টাকা পেয়ে যাবেন। মাথাভাঙ্গার নিশিগঞ্জ নিশিময়ী হাইস্কুলের টিআইসি তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘কতগুলো কিস্তিতে সেই লোন শোধ করব সেটাও আমরা নিজেরাই ঠিক করতে পারব। আগে যেটা সম্ভব ছিল না।’ একই কথা বলেন মাথাভাঙ্গার কোদালখেতি হরচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সরকার ও প্রেমেরডাঙ্গা দেওয়ান বর্মন হাইস্কুলের টিআইসি মিঠুরঞ্জন সরকার।