চ্যাংরাবান্ধা: জাল আধার, প্যান কার্ড সহ গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি নাগরিক। রবিবার চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ উজ্জ্বল ইসলাম। তার আসল বাড়ি ওপার বাংলার নীলফামারীতে। সে জাল কাগজপত্র বানিয়ে এদেশে থাকছিল। এতে তাকে সাহায্য করেছিল হলদিবাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ সরকার নামে এক ব্যক্তি। তাকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃত দুজনকে সোমবার মেখলিগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। বিচারক পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশিস পি সুব্বা বলেন, ‘রবিবার ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে যাচ্ছিল। সেই সময় অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে জেরা করেন। জেরার মুখে অভিযুক্ত স্বীকার করে আদতে সে বাংলাদেশি নাগরিক। হলদিবাড়ির এক ব্যক্তি তাকে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে সাহায্য করেছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে এদিন আদালতে তোলা হয়।’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক জায়গায় এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেই সুযোগ নিয়ে পাচার যেমন চলে, তেমনই চলে অনুপ্রবেশও। বিএসএফ সতর্ক থাকলেও এসবে আজও ইতি টানা যায়নি। আবার বাংলাদেশ থেকে কাঁটাতার টপকে এপারে এসে দালাল ধরে ভুয়ো নথি বানিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। চ্যাংরাবান্ধার ঘটনা এর জলজ্যান্ত উদাহরণ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলফামারীর বাসিন্দা মহম্মদ উজ্জ্বল ১০ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে আসে। হলদিবাড়ির হেমকুমারীতে থাকছিল সে। ভুয়ো নথিতে তার নাম জিয়ারুল হক ও বাবার নাম মোকাবুল সরকার হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। তার পরিবার রয়েছে বাংলাদেশে। এদিন উজ্জ্বল ওরফে জিয়ারুলের পর্দাফাঁস হয়ে যায় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। অভিযুক্তকে মেখলিগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙ্গার এএসপি সন্দীপ গড়াইয়ের বক্তব্য, ‘ধৃতের হেপাজত থেকে ভুয়ো আধার, প্যান, বাংলাদেশের সিম কার্ড এবং ওপার বাংলার জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তবে ওই ব্যক্তি প্রায় ১০ বছর ধরে ভুয়ো নথি বানিয়ে হলবাড়িতে বহালতবিয়তে বসবাস করলেও কীভাবে বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।