Cooch Behar | ভর্তির আবেদনে পিছিয়ে গ্রামীণ কলেজ

Cooch Behar | ভর্তির আবেদনে পিছিয়ে গ্রামীণ কলেজ

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


কোচবিহার: স্নাতক স্তরে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা বাড়ায় শহরের কলেজগুলিতে আবেদনের সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই। তবে গ্রামীণ এলাকার কলেজগুলিতে আবেদনের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।

সোমবার জেলার বেশ কয়েকটি কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, শহরের কলেজগুলিতে আবেদনকারীর সংখ্যা হাজারখানেক বাড়লেও গ্রামীণ এলাকার কলেজগুলির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ১৫০, কোথাও আবার ৩০০–র একটু বেশি। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়লেও পড়ুয়াদের প্রথম পছন্দের কলেজ হিসেবে গ্রামীণ কলেজগুলিতে আবেদনে খুব বেশি হেরফের হয়নি। সেক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার কলেজগুলিতে যে এবার আসন অনেকটাই ফাঁকা থাকবে, সেকথা জানিয়েছেন অধ্যক্ষদের অনেকেই। এবিষয়ে মেখলিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মিঠু দে বলেন, ‘এবার উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কম হওয়ায় গ্রামীণ এলাকার কলেজগুলিতে তার প্রভাব পড়বে। এবার প্রচুর আসন গ্রামীণ কলেজগুলিতে ফাঁকা থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’

এবছর কলেজগুলিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১৭ জুন থেকে। এরপর অবশ্য ভর্তির আবেদনের সময়সীমা ১৫ জুলাই অবধি বাড়ানো হয়েছে। বক্সিরহাট মহাবিদ্যালয়ে ২,৬০০ আসন থাকলেও ৩০ জুন পর্যন্ত সেখানে ১,২৫৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেসময় ১৪৪ জনের প্রথম পছন্দ ছিল এই কলেজ। তবে সোমবার সন্ধে পর্যন্ত সেখানে ১,৪৯৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৯০ জনের প্রথম পছন্দ এই কলেজ। আবেদনকারীর সংখ্যা এবং প্রথম পছন্দের সংখ্যা কিছুটা বাড়ায় খুশি কলেজের টিআইসি কার্তিক সাহা।

মেখলিগঞ্জ কলেজকে প্রথম পছন্দ হিসেবে নির্বাচন করা আবেদনকারীর সংখ্যা মাত্র চারটি বাড়লেও সেখানে সবমিলিয়ে আবেদন সংখ্যা বেড়েছে ১৫০টি। বাণেশ্বর সারথীবালা মহাবিদ্যালয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ১,৪৯৮টি আবেদন পড়লেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৬৩২টি। প্রথম পছন্দ হিসেবে এই কলেজকে নির্বাচনকারীর সংখ্যা ২৫৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭৬। এদিকে, ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে ১,৬৪৯টি আসন থাকলেও এখন পর্যন্ত ১,৫১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে শহরের ইউনিভার্সিটি বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে ২,২২৫টি আসনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত ৩,৮২০ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,১১৪টি। প্রথম পছন্দ হিসেবে এই কলেজে আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০।

কোচবিহার কলেজে ৩,০৬০টি আসনের প্রেক্ষিতে আবেদনের সংখ্যা বর্তমানে ১৫ হাজার পেরিয়েছে। এবিএনশীল কলেজে ১,৩২৮টি আসনের জন্য প্রায় ১৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো প্রসঙ্গে এবিএনশীল-এর অধ্যক্ষ নিলয় রায় বলেন, ‘এতে প্রতিটি কলেজেই আবেদনকারীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে। সবদিক দিয়ে দেখলে এতে বহু পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *