তুফানগঞ্জ: বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ (Tufanganj) ১ এর অন্দরানফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। প্রধান ননীবালা বর্মনের বাড়িতে এদিন বিজেপি (BJP)-র পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে কর্মীদের যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)।
এদিন পঞ্চায়েত প্রধান ননীবালা বর্মনের বাড়িতে বিকেলে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বিজেপির কর্মীরা আসতে শুরু করেন। তাঁদের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান। তাঁর আরও অভিযোগ, রাস্তায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী তাঁদের কর্মীদের হুমকি দিয়ে, গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। কর্মীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে আসে।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬, বিজেপির ৬টি আসন রয়েছে। বিজেপির ২টি আসন পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের ১টি আসন পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছে। এদিনের এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। এখানে বিরোধীদলের কোনও কার্যক্রম তৃণমূলের হার্মাদরা করতে দিতে চায় না। সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করে শুধুমাত্র সন্ত্রাসের মাধ্যমে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে টিকে রয়েছে। এর মধ্যেও বিজেপির কর্মীরা মাটি কামড়ে ধরে পশ্চিমবঙ্গে লড়াই করছে। এদিনের এই আক্রমণ প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের নেই। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলব।’
যদিও বিজেপির আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরানফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশার আলি দাবি করেন, ‘ঘোগারকুঠি এলাকা থেকে বিজেপির বেশকিছু কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার কথা ছিল। সেই কর্মসূচিকে বানচাল করতেই বিজেপি পরিকল্পিত বৈঠক ডেকেছে। বিজেপির কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করেছে। এক কর্মীকে মাথায় আঘাত করা হয়। আমরা তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।