Cooch Behar | বাস টার্মিনাসের ছাদজুড়ে মদের বোতল! শোরগোল শহরে

Cooch Behar | বাস টার্মিনাসের ছাদজুড়ে মদের বোতল! শোরগোল শহরে

ব্লগ/BLOG
Spread the love


কোচবিহার: বীরেন্দ্রচন্দ্র দে সরকার বাস টার্মিনাসে নেশার আসর বসার অভিযোগ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে বিভিন্ন জায়গার যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। সকলের নজর এড়িয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কী করে মদের আসর বসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। কোচবিহার পুরসভা সরকারি এই জায়গাটি দেখভালের দায়িত্বে আছে। পুরসভার পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘সরকারি জায়গা হলেও বর্তমানে পুরো ভবনটি দেখভালের দায়িত্ব পুরসভার। ব্যবসায়ীদের ঘরগুলি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে যদি কেউ অন্যায় কাজ করে সেটা দেখার দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের। ওই চত্বরে পর্যাপ্ত আলো ও জলের ব্যবস্থা রয়েছে। গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

বুধবার টার্মিনাসের একতলার ছাদে গিয়ে দেখা গেল, ছাদজুড়ে মদের বোতল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কোথাও আবার বাক্স ও আবর্জনা পড়ে আছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যা তো বটেই। দিনেও ওই চত্বরে মদের আসর বসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিশাল কর্মকারের কথায়, ‘আমাদের এখানে পর্যাপ্ত আলো নেই। সেই সুযোগে অন্ধকার হলে এখানে মদের আসর সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম হয়। বিল্ডিংয়ে শৌচালয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ছাদের ওপর মানুষ শৌচকর্ম করে। যাঁরা কালেকশনে আসেন তাঁদের এসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।’ পাশাপাশি বাস টার্মিনাসে পর্যাপ্ত আলো, জল এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, শহরজুড়ে নিয়মিত আমাদের টহলদারি চলছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শহরের ব্যস্ততম কেশব রোড সংলগ্ন বেসরকারি টার্মিনাস চত্বরে সন্ধ্যা ঘনালে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে এর পেছনে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা অন্য কারও মদত আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিন ওই চত্বরে যেতে দেখা গেল, মদের বোতল হাতে দুই তরুণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরেক ব্যবসায়ী ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে ওই এলাকায় মদের আসর বসছে। মাঝেমধ্যে দিনেরবেলায় এমন দেখা যায়। যাত্রীস্বার্থের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’

সজল বর্মন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, বীরেন কুণ্ডু পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০১২ সালে ভবনটির ওপরের তিনটি ফ্লোর কেনেন। সেসময় বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ হয়। অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব দেখলে অবাক হতে হয়। আমি সেখানে নিরাপত্তারক্ষী রেখেছিলাম। কিন্তু তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

বাসস্ট্যান্ড চত্বরের এই পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ী চিন্ময় বর্মন। চিন্ময়ের মন্তব্য, ‘আমাদের বিল্ডিংয়ে জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। প্রকাশ্যে মদের আসর বসছে। খুব তাড়াতাড়ি এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ করা উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *