কোচবিহার: বাবাকে খুনের (Homicide Case) দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন হাজতবাসের সাজা শোনাল কোচবিহার আদালত (Cooch Behar Courtroom)। ২০২১ সালে উত্তর খাগরাবাড়ি এলাকায় পারিবারিক বিবাদের জেরে বাবা রুক্কিনি দেব (৯২)-কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ছেলে শম্ভু দেবের (৪৫) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি শম্ভু তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হল সে।
আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ১৩ জুন কোচবিহার (Cooch Behar) শহর সংলগ্ন উত্তর খাগড়াবাড়ির নমপাড়ায় খুনের ঘটনাটি ঘটে। পারিবারিক বিবাদ থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। এরপর দা দিয়ে শম্ভু তার বাবার মাথায় আঘাত করে। সেখানে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। পরিবারের বাকি সদস্যরা বাঁচাতে এলে তাদেরকেও আক্রমণ করা হয়। মা আলোরানি দে (৮০) ঘটনায় জখম হন। দাদা বিশ্বজিৎ দেব, বৌদি শিপ্রা দেব, ভাই সুরঞ্জন দেবও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় রুক্কিনি দেবকে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেদিনই তিনি মারা যান। পরদিন অর্থাৎ ১৪ জুন মৃতের আরেক ছেলে বিশ্বজিৎ দেব পুন্ডিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মহম্মদ শাহবাজ। ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (থার্ড কোর্ট) রুদ্রপ্রসাদ রায়ের এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি সাজা ঘোষণা করেন। চারটি ধারায় মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের জেল খাটতে হবে দোষীকে। এদিন সাজা ঘোষণার পর মামলার সরকারি তরফের আইনজীবী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ৩২৫ ও ৩২৬ ধারা অনুযায়ী দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’