Cooch Behar | প্রকল্প শুরুর পর পরিষেবা বন্ধ! পরিস্রুত জল চায় বড়ভিটা 

Cooch Behar | প্রকল্প শুরুর পর পরিষেবা বন্ধ! পরিস্রুত জল চায় বড়ভিটা 

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


নয়ারহাট: নয়ারহাট বাজার সংলগ্ন বড়ভিটা এলাকায় বিগত দেড় বছর ধরে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) ঔদাসীন্যে স্থানীয় বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। পিএইচই-র ভূমিকা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা নলকূপের আয়রনযুক্ত জল পান করছেন। ফলে ক্রমশ ক্ষোভের পারদ বাড়ছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিও জোরালো হয়ে উঠেছে।

কেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে? নয়ারহাট জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর বক্তব্য, ‘পাইপলাইনের সমস্যার জেরে ওই এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরেও আনা হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে পিএইচই-র মাথাভাঙ্গা শাখার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ঋষিন ঘোষকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘরে ঘরে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পিএইচই কাজ করছে। দপ্তরের জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় জলাধার, পাম্পহাউস তৈরি ও পাইপ বসানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে, ভিন্ন ছবি বড়ভিটা এলাকায়। সেখানে দেড় বছর আগে বাড়ি বাড়ি জল পরিষেবা শুরু হওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সুমন্ত অধিকারীর বক্তব্য, ‘দেড় বছর আগে এলাকায় অন্তত ২০০ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই বাধ্য হয়ে নলকূপের জল পান করছি। স্বাস্থ্যের স্বার্থে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা উচিত।’

বাড়িতে জলের সংযোগ থাকলেও পরিষেবা অধরা থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। সুধীর বর্মন, কার্তিক রায়ের মতো স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকা রাস্তার পশ্চিম প্রান্তের বাড়িগুলিতে এখনও সংযোগই দেওয়া হয়নি। রাস্তার পূর্ব প্রান্তের বাড়িগুলিতে সংযোগ থাকলেও পরিষেবা অমিল। দ্রুত এলাকার সব বাড়িতেই তাঁরা জল পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *