পুণ্ডিবাড়ি: পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার এক নাবালিকার বিয়ে হয়েছে পাঁচ-ছয় মাস আগে। সম্প্রতি সতেরো বছর বয়সি ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ বিষয়টি জানান পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশকে। মঙ্গলবার রাতে নাবালিকার মা, বাবা, স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুরকে। বাকিরা পলাতক। বুধবার ধৃতকে কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হয়। অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে কোচবিহার শহিদ বন্দনা স্মৃতি বালিকা আবাসে।
বাল্যবিবাহ রোধে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। একদিকে চলছে প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচার। কোথাও আবার স্কুলগুলোতে তৈরি হয়েছে কন্যাশ্রী ইউনিট। কিন্তু তাতে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা খুব একটা কমেনি। পুণ্ডিবাড়িতে এক নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসতে সেটাই প্রমাণিত হল।
সম্প্রতি সেই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যান। বিষয়টি জেনে লিখিতভাবে পুণ্ডিবাড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ শ্যামলকুমার দাস। নাবালিকার স্বামী সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ধরা পড়ে শুধু শ্বশুর। বিএমওইচ বলেন, ‘গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপরেই পুলিশ এবং বিডিওকে জানানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’