শিবশংকর সূত্রধর,কোচবিহার: এক গৃহস্থকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক কৃষকের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার-১ ব্লকের হাওড়ারহাট এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সুবোধ মালাকার (৬৫) নামে ওই গৃহস্থকে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগতেও শুরু করেছে। মৃত সুবোধ মালাকার তাদের কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। অপরদিকে অভিযুক্ত পরিতোষ দাস এলাকায় বিজেপি নেতা হিসাবে পরিচিত বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘নাটাবাড়ি বিধানসভার পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মী পরিমল দাসের আক্রমণে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সুবোধ মালাকার নৃশংসভাবে খুন হন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’ তবে এবিষয়ে বিজেপির তরফে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি বৈঠকে থাকায় তাঁর বক্তব্য মেলেনি। নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকেও একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনিও ফোন তোলেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধ মালাকারের বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেই জমিতে ধান রোপনের জন্য ছয় হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছিল পরিতোষের সঙ্গে। দুদিন কাজ করেও পরিতোষ ধান রোপন সম্পন্ন করতে পারেননি। এরই মধ্যে রবিবার পরিতোষ সুবোধের কাছে গিয়ে তাঁর প্রাপ্য মজুরি চায়। সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে বচসা হয়।
এই প্রসঙ্গে মৃত সুবোধের স্ত্রী লীলা মালাকার বলেছেন, ‘পরিতোষ দাস টাকা চাইতে এলে আমার স্বামী তাকে বলেছিল আগে ধান রোপণের কাজ সম্পন্ন কর, তারপরে টাকা দেওয়া হবে। এরপরই সেখানে বচসা হয়। পরে পরিতোষ আমার স্বামীকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ও বাড়িতে ফিরে আসে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পরিতোষ দাস পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।