Cooch Behar | ধরলাতে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার

Cooch Behar | ধরলাতে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার

ব্লগ/BLOG
Spread the love


মাথাভাঙ্গা: শুক্রবার দুপুরে মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের ধরলা নদীতে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরছিলেন কতিপয় অসাধু মৎস্যজীবী। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসতে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই চলছিল মাছ শিকার। এরপর ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে বিদ্যুতের তার সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় তারা। নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পেশায় কৃষিজীবী অখিল বর্মন বলেন, ‘আমরা সারাদিন মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকি। দুপুরে এলাকা শুনসান থাকে। সেই সুযোগে অন্য গ্রাম থেকে এসে একশ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরছিল। আমরা প্রতিবাদ করায় দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।’ তাদের নাম-পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।

এবিষয়ে মাথাভাঙ্গার বিশিষ্ট মৎস্যচাষি তথা রাজ্য সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপক লক্ষ্মীকান্ত বর্মন বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার করলে একদিকে যেমন নদীতে মাছের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। অপরদিকে, তড়িদাহত হয়ে যে সমস্ত মাছ বেঁচেও যাবে তারা প্রজনন ক্ষমতা হারাবে।’ তাঁর মতে, অবিলম্বে প্রশাসন এবং মৎস্য দপ্তরের উচিত ইলেক্ট্রিক শক, ইনভার্টার শক, বিষ প্রয়োগ এবং মশারি জালে মাছ শিকারের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর যে সমস্ত অসাধু মৎস্যজীবীরা ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার করছে তাদেরও এবিষয়ে সচেতন হয়ে সাধারণ জালেই মাছ শিকার করা উচিত। ‌

বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানতে মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (এফইও) অঙ্কিত শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের থেকে বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিগুলিকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এধরনের ঘটনা কারও নজরে এলে দ্রুত মৎস্য দপ্তরে এবং পুলিশের কাছে খবর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। মাথাভাঙ্গা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। যারা অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *