নিশিগঞ্জ: রাত গভীর হতেই নিভে গেল গ্রামের আলো! তবে এ বিদ্যুৎ বিভাগের কম্ম নয়, কিংবা ঝড়বাদলে তারও ছেঁড়েনি। বরং প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার ‘পাওয়ার কাট ফর্মুলা’। রবিবার গভীর রাতের ঘটনা। নিশিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এক গ্রামে ট্রান্সফর্মারের গ্যাং নামিয়ে এলাকা অন্ধকারে ডুবিয়ে এক গৃহবধূর বাড়িতে প্রেম করতে ঢুকেছিল পাশের পাড়ার এক বিবাহিত তরুণ। কিন্তু এত কৌশল করেও শেষরক্ষা হল না।
অন্ধকার হতেই কৌতূহলী গ্রামবাসী ট্রান্সফর্মারের গ্যাং নামানো দেখে সন্দেহে এক বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। হঠাৎ তাঁদের নজরে পড়ে, খেতের আল ধরে দৌড়াচ্ছে এক তরুণ। ধরা পড়ে যায় হাতেনাতে। তারপর কী, উত্তম-মধ্যম সহযোগে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই দৃশ্যের ভিডিও (যার সত্যতা উত্তরবঙ্গ সংবাদ যাচাই করেনি) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যেতেই নিশিগঞ্জে শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা। কে সেই সাহসী প্রেমিক? কীভাবে ট্রান্সফর্মারের গ্যাং নামাতে জানল? এসব নিয়ে চলছে আলোচনা থেকে ট্রোল। সেই প্রেমিককে সহানুভূতিও দেখাচ্ছেন অনেকে।
এলাকার প্রাক্তন উপপ্রধান সিরাজ মিয়াঁ বলেন, ‘গৃহবধূর স্বামী সেই রাতে ট্রেনে চেপে পঞ্জাবে কর্মস্থলে রওনা হয়েছিলেন। খবর পেয়ে এখন তিনি ফিরছেন। ওই তরুণ পরকীয়ার সম্পর্কে ছিল বলেই জানি।’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী জীবন চৌহান বলেন, ‘খবর পেয়েই ছুটে যাই। পুলিশ এসে আটক করেছে ওই তরুণকে।’
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ না হলেও ওই গৃহবধূ ও তরুণকে আটক করা হয়েছে। গ্রামে আলো ফিরেছে রাতেই। কিন্তু পরকীয়ার কী পরিণতি? তা আটকে রয়েছে পুলিশের আইনের বেড়াজাল ও গ্রামের মুরুব্বিদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর।