Cooch Behar | জেলা শাসকের বিরুদ্ধে তোপ বার অ্যাসোসিয়েশনের, আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে বিচার ব্যবস্থা অচল

Cooch Behar | জেলা শাসকের বিরুদ্ধে তোপ বার অ্যাসোসিয়েশনের, আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে বিচার ব্যবস্থা অচল

শিক্ষা
Spread the love


কোচবিহার: আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে বিচার ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে গেল কোচবিহারে। জেলা শাসকের উদাসীনতায় সরকারি আইনজীবীরা বহু মাস ধরে প্রাপ্য বকেয়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। বারবার জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় শুক্রবার কর্মিবিরতি করেন সরকারি আইনজীবীরা। তাঁদের ওই কর্মবিরতিতে অন্য আইনজীবীরাও যোগ দেন। জেলা শাসকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সর্বত্রই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এদিন বিচারপ্রার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তির মুখে পড়েন।

আইনজীবীদের অভিযোগ, রাজ্য থেকে জেলাতে ফান্ড পাঠানো হলেও জেলা শাসক বিল মেটাচ্ছেন না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা শাসক অরবিন্দকুমার মিনা। তিনি দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত ফান্ড না আসাতেই বিল মেটানো যায়নি। জেলা শাসক বলেন, ‘সরকার থেকে বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে বিল মেটানো হয়। এবার এখনও বরাদ্দ আসেনি। সেজন্যই ওঁরা পাননি। সেটা চলে এলেই বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে।’

জেলা শাসকের একথা মানতে নারাজ আইনজীবীরা। জেলা সরকারি আইনজীবী (ডিস্ট্রিক্ট পাবলিক প্রসিকিউটার) অজয়কুমার গুহনিয়োগীর অভিযোগ, ‘রাজ্য থেকে ৩১ মার্চের আগেই পর্যাপ্ত টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জেলা শাসক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনও কারণ ছাড়াই সেই বিল আটকে রেখেছেন। একাধিকবার ওঁকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই আমরা কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।’

জেলায় কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত অন্তত ৮০০ আইনজীবী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জেলা সরকারি আইনজীবী ও বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে সরকারি আইনজীবী নিয়োগ হন। তাঁদের পারিশ্রমিক সরকারি তরফেই মেটানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি আইনজীবীরা ব্যক্তিগতভাবে কোনও মামলায় লড়তে পারেন না। অর্থাৎ সরকারি বিলই তাঁদের রোজগারের একমাত্র উৎস। অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস ধরে বিল মেটানো হচ্ছে না।

এর আগে এদিন সকাল থেকেই কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। আদালত খোলা থাকলেও সেখানে আইনজীবীদের কাউকেই কাজ করতে দেখা যায়নি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘জেলা শাসককে আমি নিজে কয়েকবার বিষয়টির কথা জানিয়েছি। তিনি কোনও উত্তর দেননি। আমরা জেলা শাসকের বিরুদ্ধে এবিষয়ে রাজ্যে অভিযোগ জানাব। আইনমন্ত্রীরও নজরে আনা হবে।’

আইনজীবীদের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় এদিন দূরদূরান্ত থেকে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি বাড়তেই থাকে। কোচবিহার-২ ব্লকের মরিচবাড়ি থেকে এদিন আদালতে এসেছিলেন ‌অভিজিৎ সরকার। তিনি বলেন, ‘আগে থেকে কিছুই জানতাম না। এখানে এসে দেখি কর্মবিরতি চলছে। কোনও কাজ হল না, ঘুরে যেতে হচ্ছে।’ আইনজীবী শিবেন রায়ের কথায়, ‘সরকারি আইনজীবীরা তাঁদের বিল পাচ্ছেন না। তাঁদের পাশে থাকতে আমরা প্রত্যেক আইনজীবীই কর্মবিরতি করছি।’ একই কথা জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত, রঞ্জিত ভট্টাচার্যরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *