নয়ারহাট: দারিদ্র্যের মধ্যেই তার বেড়ে ওঠা। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে গেলে লক্ষ্যের পথে দারিদ্র্য যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তা প্রমাণ করল শিকারপুরের সোয়েল আলি। প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যেও কলা বিভাগে ৯০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নজর কাড়ল শিকারপুর হাইস্কুলের এই পড়ুয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৫০। সোয়েল ইতিহাসে ১০০ নম্বর পেয়েছে। শিক্ষাবিজ্ঞানে ৮৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পরিবেশবিদ্যায় ৯১ করে পেয়েছে, বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর ৭৮। অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে এই মেধাবী পড়ুয়া।
উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতির পাশাপাশি বাবার সঙ্গে নিয়মিত জমিতেও কাজ করতে হত তাকে। সোয়েলের কথায়, ‘আমাদের সামান্য জমি রয়েছে। নিয়মিত জমিতে কাজ করতাম। তারই ফাঁকে পড়াশোনা করেছি।’ ইতিহাস নিয়ে উচ্চশিক্ষার শেষে অধ্যাপনা করতে চায় সে।
ভালো ফল করলেও ছেলের কলেজে ভর্তি হওয়ার খরচ কীভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে বাবা এক্রামুল হকের। পেশায় রাজমিস্ত্রি এক্রামুলের কাজ থাকে না বেশিরভাগ সময়। থাইরয়েড সহ নানা শারীরিক সমস্যার রয়েছে তাঁর। প্রতিমাসেই ওষুধের পেছনে খরচ হয় মোটা টাকা। অসহায় বাবার আবেদন, কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি পাশে এসে দাঁড়ান তাহলে সোয়েলের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ হবে।
শিকারপুর হাইস্কুলের টিআইসি আমিনুল ইসলাম ও গৃহশিক্ষক বিনয় রায় জানিয়েছেন, নিদারুণ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই এই ফল করেছে সোয়েল। আগামী দিনেও তাঁরা সাধ্যমতো এই পড়ুয়ার পাশে থাকবেন।