মেখলিগঞ্জ: মিষ্টির প্যাকেট ও ঠান্ডা পানীয় নিয়ে রীতিমতো তৈরি হয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এক তরুণ। যদিও ভালোবাসার বদলে জুটল মার। শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা রাতের অন্ধকারে ওই অপরিচিত তরুণকে নিজতরফের ভোটেরবাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। চোর সন্দেহে তাঁকে উত্তমমধ্যম দেন এলাকাবাসী। পালানোর চেষ্টা করলেও তিনি চা বাগানের মাঝে আটকে পড়েন। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও সেখান থেকেও তরুণ পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। থানার ওসি মণিভূষণ সরকার বলেন, ‘ওই তরুণের নামে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। খবর পেয়েছি যে তিনি বাড়ি চলে গিয়েছেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বিবাহিত। ভোটেরবাড়ির এক বিবাহিত বধূর সঙ্গে তাঁর একটি প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি থেকে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অন্ধকারে এলাকায় লোকটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কয়েকজন বাসিন্দা চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। ফলে গ্রামের মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন। চোর সন্দেহে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা রায় ঘটনাস্থলে যান। তাঁর কথায়, ‘সাধারণ মানুষ চোর সন্দেহে এক তরুণকে মারধর করেছিল। আমরা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। এছাড়া তরুণের কিছু টাকা ও মোবাইলও উদ্ধার করে তা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’
কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁর ফেলে যাওয়া মিষ্টির প্যাকেট ও ঠান্ডা পানীয় দেখে বুঝতে পারেন যে, তরুণ চোর নন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রবিবার সকালে তিনি পালিয়ে যান। হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপসকুমার দাস বলেছেন, ‘হাসপাতাল থেকে রোগী কীভাবে পালাল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’