Cooch Behar | গরম থেকে বাঁচতে ওয়াটার ফগার মেশিন ভবানীগঞ্জ বাজারে ঠান্ডা জলের ছিটে

Cooch Behar | গরম থেকে বাঁচতে ওয়াটার ফগার মেশিন ভবানীগঞ্জ বাজারে ঠান্ডা জলের ছিটে

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


কোচবিহার: বৃহস্পতিবার দুপুরে তখন তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। প্রখর রোদে বাইরে বেরোতে যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করতে হচ্ছে। তার মধ্যে বাজারে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করাটা বেশ কষ্টের। এক জায়গায় বসে থাকলেও গরমে বিক্রেতাদের কাহিল অবস্থা। ভবানীগঞ্জ বাজারের ভেতরে ঘিঞ্জি পরিবেশে রীতিমতো অস্বস্তি হচ্ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের। মুহূর্তেই বদলে গেল ছবি। ঠান্ডা জলের ছিটে এসে লাগছে সবার শরীরে। শরীর ভিজছে না ঠিকই, কিন্তু গরমে স্বস্তি মিলছে।

বৃষ্টির আমেজ মিললেও বৃষ্টি কিন্তু হচ্ছিল না। আসলে তীব্র গরমে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বস্তি দিতে অভিনব পন্থা প্রয়োগ করেছে কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের ডালপট্টি হনুমান মন্দির কমিটি। বাজারে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ওয়াটার ফগার কিট বসানো হয়েছে। সেই পাইপের মাধ্যমে ঠান্ডা জলের ছিটে ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। মন্দির কমিটির সদস্য বিক্রম বানিয়া বলেছেন, ‘তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারনেটে ওই মেশিনটি দেখেছিলাম। হাজার ছয়েক টাকা খরচ করে সেটাই নিয়ে আসা হয়। বাজারে আসা মানুষরা প্রত্যেকেই প্রশংসা করছেন। যেভাবে দিন-দিন গরমের মাত্রা বাড়ছে, সেটা থেকে বাঁচতে ঠান্ডা শরবত বিলির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

রীতিমতো গলদ্ঘর্ম অবস্থায় এদিন ভবানীগঞ্জ বাজারে এসেছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা সুখেন্দুরঞ্জন ধর। দূর থেকে ওই মেশিনের পাইপলাইন নজরে পড়তেই উৎসাহী হয়ে এগিয়ে যান। দেখা যায়, পাইপের সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে ধোঁয়ার মতো করে জল ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। গায়ে জলের ছিটে লাগতেই স্বস্তির শ্বাস ফেললেন সুখেন্দুরঞ্জন। বললেন, ‘প্রতিদিন এই বাজারে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা থাকে। বাজারের ভিতরে এই ধরনের উদ্যোগে খুবই ভালো হল। গরম থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে।’ আয়োজক কমিটির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাজারে আসা অন্য ক্রেতারাও।

আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য ইতিমধ্যে স্বস্তির খবর শুনিয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবাকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন থেকে রবিবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর জেলার কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও কোচবিহারে দিনভর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বরং গরমের তীব্রতা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। রোদের দাপট কাটিয়ে স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষাতেই ছিলেন সাধারণ মানুষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *