Cooch Behar | গজিয়ে ওঠা দোকানে মুখ ঢাকছে রাসমেলার মাঠ! ক্ষুব্ধ শহরবাসী

Cooch Behar | গজিয়ে ওঠা দোকানে মুখ ঢাকছে রাসমেলার মাঠ! ক্ষুব্ধ শহরবাসী

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


কোচবিহার: রাস্তার ওপর গজিয়ে ওঠা দোকানের দাপটে ঢেকে যাচ্ছে কোচবিহারের ফুসফুস রাসমেলা মাঠ। বছর দুয়েক আগেই প্রশাসনের তরফ থেকে দখলমুক্ত করা হয়েছিল রাসমেলা মাঠের সামনে অংশ। রীতিমতো আর্থমুভার দিয়ে উচ্ছেদ করতে হয়েছিল দখল করে থাকা ফুটপাথ। তারপরেও বর্তমানে একটা দুটো করে দোকান গজিয়ে উঠতে উঠতে আজকাল রাসমেলা মাঠকেই আর সরাসরি চোখে দেখা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের হেরিটেজ তালিকাভুক্ত এই রাসমেলা ময়দান বা মাঠ, স্বাভাবিকভাবেই এর একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাঠকে একপ্রকার ঢেকে ফেলেই রমরমা ব্যবসা করে চলছে একদল ব্যবসায়ী।

কোচবিহারের এই রাসমেলা মাঠটি জেলা শাসকের দপ্তরের অধীন। এই মাঠ রাসমেলা বাদেও বইমেলা, শিল্পমেলা, কীর্তন, জনসভা ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। একসময় এই মাঠে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে বাংলাদেশের কাপড়ের ব্যবসা করা হত। পরে বহুদিন মাঠজুড়ে ছিল বাঁশ বাজার। পরবর্তীতে তা রেলগুমটির কাছে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতি বর্ষায় জলে ডুবে যেত রাসমেলার মাঠ। ২০১৭ সালে মাঠটিকে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছিল। মাঝে কিছুদিন মাছের পাইকারিও করা হচ্ছিল এখানে। বারবার দখলমুক্ত করলেও বর্তমানে উলটো দিকের দেশবন্ধু মার্কেটের কিছু ডেকোরেটারের বাঁশ, কাঠ ইত্যাদি এখনও থাকতে দেখা যায়।

সমস্যা দেখা দিচ্ছে অন্য জায়গায়। এত বিশাল মাঠ ধীরে ধীরে চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে। পরিবেশবিদ অরূপ গুহ বলেন, ‘এই মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজ আমলের ইতিহাস। বর্তমান প্রজন্মকে সেটা জানাতে হবে, সচেতন করাতে হবে হেরিটেজ নিয়ে। মাঠের চারদিকে এভাবে দোকান গজিয়ে ওঠা কখনোই কাম্য নয়। এখানে যে হেরিটেজ সাইনবোর্ড লাগানো আছে তার হরফ এতটাই ছোট যে সেগুলো খুব একটা মানুষের চোখে পড়ছে না।’ মাঠের সামনের জবরদখল নিয়ে জানতে চাইলে পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘প্রশাসন ওদেরকে নোটিশ দিয়েছে শুনেছি, এরপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার ওরাই নেবে।’ যদিও মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘জবরদখল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরকে জেলা শাসকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া আছে। সরকারি জমি বা রাস্তা কোথাও নতুনভাবে জবরদখল করতে গেলে তাদেরকে বাধা দিতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করতে হবে। রাসমেলার মাঠের সামনের বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলো সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নোটিশ ইস্যু করার পরেও যদি তারা না ওঠে তাহলে আমরা সবরকমভাবে তাদের সাহায্য করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *