কোচবিহার: ‘দিদির দূত’ অ্যাপের মাধ্যমে তৃণমূলের বিএলএ-২ (বুথ লেভেল এজেন্ট)-রা দলীয়ভাবে বুথের যোগ্য, অযোগ্য ও সন্দেহজনক ভোটারদের তালিকা ঠিক করবে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (হিপ্পি) এই কথা জানান। অভিজিৎ বলেন, ‘রাজ্য থেকে আমাকে বিএলএ-১ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেলায় নয়টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। সেকারণে কাজের সুবিধার্থে আমরা আরও পাঁচজন বিএলএ চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এছাড়া জেলায় প্রতিটি বুথের বিএলএ-২-দের প্রশিক্ষিত করেছি। দিদির দূত অ্যাপের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এদিনের বৈঠকে দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী, সংগীতা রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে খবর, বিএলএ ২-রা দিদির দূত অ্যাপটি ওপেন করলে তাঁর বুথের ভোটার তালিকা দেখতে পারবেন। সেই তালিকায় কোন ভোটার থাকার যোগ্য এবং কে অযোগ্য তা দেখে অ্যাপে সাবমিট করবেন। কোনও অযোগ্য ভোটার তালিকায় থাকলে, সেটাও চিহ্নিত করে সাবমিট করবেন। আবার কোনও ভোটারকে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদ দেওয়া হয়। তাহলে সেই নামও তিনি সাবমিট করবেন। এছাড়া অনেক বিএলও আছেন, যাঁরা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। তাঁদের নামও সেখানে সাবমিট করতে বলা হয়েছে। হিপ্পির কথায়, ‘আমরা তাঁদের নামে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।’
তৃণমূলের তরফে এদিন একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়, লোকসভা ভোটের পর জেলায় ৯২,৬৭৫ জন ভোটার ‘মিসম্যাচ’ করছে। এর মধ্যে ৫৮,০১৯টি নতুন নাম উঠেছে। ৩৪,৮৫৬টি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিজিৎ দলীয়ভাবে এগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ভারত সরকার সংখ্যালঘু সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে নিজেদের স্বার্থে লুট করুক তা আমরা চাই না।’