Cooch Behar | অভাব-অভিযোগ শুনতে জনসংযোগ কর্মসূচি প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতা

Cooch Behar | অভাব-অভিযোগ শুনতে জনসংযোগ কর্মসূচি প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


বক্সিরহাট : পরিষেবা সংক্রান্ত অভাব-অভিযোগ শুনতে বিজেপির কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য সুশান্ত রাভা জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলেন। রবিবার তিনি শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়  যান। এদিন সেখানে বিজেপি জেলা পরিষদ সদস্যকে উন্নয়ন নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়৷

সুশান্ত বলেন, ‘‘আমি বিজেপির সদস্য বলে আমার এলাকা উন্নয়নের কাজ থেকে বঞ্চিত। এলাকার সমস্যা নিয়ে ১২৮টি অভিযোগ ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তেই জানিয়েছি। সেই জবাবে কোনওটি ৯০ দিনের মধ্যে কাজ হবে, কোনওটি আবার জেলা শাসক দপ্তরে আটকে আছে বলে জানানো হয়। এভাবে দু’বছর কেটে গেলেও সমস্যা মেটেনি। বিজেপি বলে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ দ্বিচারিতা করছে। সেকথা জানাতে ও মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে এখন থেকে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরব। সমস্যা না মিটলে গ্রামবাসীদের একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

কোচবিহার ৩২ নম্বর জেলা পরিষদের আওতায় শালবাড়ি-১ ও বারকোদালি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।  আপাতত সেখানে গিয়ে বিজেপি নেতা সুশান্ত পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ শুনছেন এবং সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করছেন। প্রত্যেক রবিবার তিনি পাড়ায় পাড়ায় এই কর্মসূচি করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন তিনি তুফানগঞ্জ-২  ব্লকের শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জমিদারপাড়ায় যান। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রূপবালা সেন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের জলকাদা ভরা কাঁচা রাস্তা ঘুরে দেখেন। গাছতলায় বসে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনেন। এদিন স্থানীয় বাসিন্দা নগেন বর্মন গ্রামের বেহাল রাস্তা নিয়ে সুশান্তকে ক্ষোভ উগরে দেন। আরেক স্থানীয় কল্যাণ সেন বাড়ি বাড়ি পানীয় জলপ্রকল্প চালুর কথা জানান। সুশান্তর কথায়,  ‘‘শুধু এই এলাকা নয়। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট, কালভার্ট, নদীবাঁধ, পানীয় জলের সমস্যা, নিকাশিনালা, গ্রামীণ হাসপাতাল, পশু চিকিৎসালয় বেহাল নিয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ১২৮টি সমস্যা রেজিস্টার করাই। তারপর সেই রেফারেন্স বিডিও, জেলা পরিষদ ও অতিরিক্ত জেলা শাসককে জানিয়েছি। কিন্তু এরপর দুই বছর কেটে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।’’ সেই সমস্ত তথ্য এদিন তিনি বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরেন।

এদিকে, গেরুয়া শিবির মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ তুলে পালটা সরব তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মনের বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ওই বিজেপি নেতা এধরনের মন্তব্য করছেন। তিনি হয়তো জানেন না ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে জানিয়ে গ্রামীণ এলাকার অসংখ্য ছোট-বড় পাকা রাস্তার অনুমোদন মিলেছে। অনেকে বাংলা আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন।’’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *