তুফানগঞ্জ: তুফানগঞ্জ মহকুমায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে অটো। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অভিযোগ, এ ব্যাপারে পুলিশ বা প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। পুলিশ অবশ্য পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।
প্রতিদিন তুফানগঞ্জ থেকে ধলপল, ভাটিবাড়ি, চিকলিগুড়ি, নাটাবাড়ি, রসিকবিল, বক্সিরহাট, বলরামপুর, বালাভূত সহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে অটো সহ অন্যান্য ছোট গাড়ি। অভিযোগ, সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বিপজ্জনকভাবে চলছে অটো।
পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশ, একটি অটোতে চালক সহ চারজনের বেশি বসা যাবে না। কিন্তু বেশিরভাগ অটোগুলোতে ১০-এর বেশি যাত্রী তুলতে দেখা যায়। বেপরোয়াভাবে অটো চলাচলের কারণে অনেক সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। নিত্যযাত্রীদের মতে, অটো নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও প্রশাসনের সেরকম নজরদারি নেই। অবশ্য অটোচালকদের একাংশের দাবি, যে হারে তেলের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় ভাড়া খুব একটা বাড়েনি। সরকারি নির্দেশিকা মেনে যাত্রী নিলে তেলের খরচই উঠবে না। অটোচালক পরিমল সিংহ বলেন, ‘দিনে এক বা দুই ট্রিপ হয়। গাইডলাইন মেনে যাত্রী তুললে তেল খরচই উঠবে না। সংসার চালানো তো দূরের কথা। তাই অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো চালাতে হয়। টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো যাত্রী হয় না।’ অটোচালক পলাশ বর্মনেরও একই কথা। আগে তুফানগঞ্জ মহকুমায় ৭০০-র মতো অটো চলাচল করলেও বর্তমানে তা কমতে কমতে ৫০০-তে এসে দাঁড়িয়েছে। টোটোর উপরেই যাত্রীরা বেশি ভরসা করছেন। অতুল বর্মন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে যেতে আগে অটোই একমাত্র ভরসা ছিল। এখন টোটো হওয়ায় অটোর চাহিদা কমতে শুরু করেছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো চলাচল কাম্য নয়।’ তুফানগঞ্জ মহকুমা অটো ইউনিয়নের সম্পাদক স্বপন বর্মা বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো চলাচলের যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তুফানগঞ্জ থানার ওসি (ট্রাফিক) বিপুল বর্মন বলেন, ‘ওভারলোডিং নজরে এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বারবার চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’