উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : বীরভূমে জেলা তৃণমূলে এবার গুরুত্ব বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। রবিবার বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandhypadhy)। তারপর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান অনুব্রত। মিনিট দশেক কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক ও মিছিল শেষে বোলপুর রাঙাবিধান গেস্ট হাউসে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy), অসিত মাল, কাজল শেখ (Kajal Sheikh), অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে অনুব্রতকে কোর কমিটির আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে বীরভূম জেলায় তৃণমূলে ফের অনুব্রতর গুরুত্ব বাড়ায় রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন আলোচনা শুরু হয়েছে। একসময় জেলায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় সিবিআই (CBI) তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও জেলা সভাপতি পদে থেকে যান তিনি। তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
তবে ২ বছর পরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অনুব্রতর প্রভাব কমতে থাকে। জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। শুধু দলের জেলা কোর কমিটির একজন সদস্য হিসেবে থাকেন তিনি।
বেশ কিছুদিন আগে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে গালিগালাজ করার একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তি বাড়ে অনুব্রতর। দল রুষ্ট হলে ক্ষমা চান তিনি।
এরপর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের আগের দিন ধর্মতলায় মঞ্চের সামনে যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান অনুব্রত। সবমিলিয়ে বীরভূম জেলায় ধীরে ধীরে তাঁর প্রভাব কমতে থাকে।
এরপর জেলা তৃণমূলের ফের প্রভাব বাড়ায় ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় কতটা দাপট দেখা যায় অনুব্রতর সেটাই এখন দেখার।