উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত বন্ধ করল কর্তারপুর করিডর। শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। বর্তমানে সেখানে গিয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয় তীর্থযাত্রী। তাঁদের ভারতে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধিনস্থ দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বন্ধ করা হয়েছে কর্তারপুর করিডর।
শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে জায়গাটি ভারতেরই অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে পড়ে। ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বীরা যাতে এই তীর্থক্ষেত্রে সহজে যেতে পারেন সেই দাবি তোলেন ভারত সরকারের কাছে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারে যেতে ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত বন্ধ করল কর্তারপুর করিডর।
বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর বলেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য ৫০০ জন তীর্থযাত্রী নাম লিখিয়েছিলেন। এদিন সকালে প্রায় ১০০ জন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু করিডর বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে কী কারণে এটি বন্ধ করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ভারতের গোলাবর্ষণে ৮০ জন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।