Climate report | তীব্র গরম থেকে মিলবে স্বস্তি, উত্তরে আগাম বর্ষার সম্ভাবনা

Climate report | তীব্র গরম থেকে মিলবে স্বস্তি, উত্তরে আগাম বর্ষার সম্ভাবনা

ব্লগ/BLOG
Spread the love


সানি সরকার, শিলিগুড়ি : রাতের বৃষ্টির আমেজ থাকছে সকাল পর্যন্ত। তারপরই চড়া রোদ। কিন্তু দুপুর হতেই আকাশে আবার মেঘের আনাগোনা। ফলে তাপমাত্রা কার্যত থাকছে নিয়ন্ত্রণে। অনেকটা কালবৈশাখী উত্তর প্রাক বর্ষার পরিস্থিতি। তাহলে কি এবার হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে আগাম প্রবেশ ঘটছে বর্ষার? ৯ দিন এগিয়ে আন্দামান ও নিকোবরে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করায়, এই সম্ভাবনা আরও জোরালো। ১ জুনের পরিবর্তে ২৭ মে কেরলে বর্ষা শুরু হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বর্ষার জন্য উত্তরবঙ্গকে যে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না, তা পরিষ্কার। তবে এখনই সুদিন ফিরছে না গৌড়বঙ্গে। মূলত মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরকে দহনজ্বালায় আরও কিছুদিন জ্বলতে হবে।

তীব্র গতির হাওয়া আছড়ে পড়ছে কোথাও, কোথাও আবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেমন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নাগরাকাটায় ১২২, ঘাটিয়া চা বাগানে ১১৯, ইনডং চা বাগান এলাকায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই সময় এমন বৃষ্টি ভাবা যায়! শুধু এই তিনটি জায়গায় নয়, গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস যা, তাতে এমন পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। এমন পরিস্থিতি সাধারণত দেখা যায় প্রাক বর্ষার সময়। কিন্তু এবছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই। তাছাড়া, যেভাবে দক্ষিণ দিক থেকে তীব্র গতি এবং শক্তিশালী হাওয়া বইছে, আউটগোয়িং লংওয়েভ রেডিয়েশনের অবস্থান রয়েছে, তাতে নিশ্চিত হওয়া যায়, বর্ষা বা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রকৃতিতে যে শর্তগুলি পূরণ আবশ্যিক, তা ঠিকঠাক হচ্ছে। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে এবার বর্ষার আগমন ঘটছে আগাম। তবে শর্ত পূরণের বিষয়টি কিছুটা মেনে নিলেও আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘কিছুটা এগিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কেরলে বর্ষার প্রবেশের সম্ভাবনা থাকলেও, উত্তরবঙ্গে কবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলার সময় আসেনি। তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’ উল্লেখ্য, দু’দিন এগিয়ে গত বছর কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৩০ মে এবং উত্তরবঙ্গে ১০ জুনের পরিবর্তে ২ জুন। তবে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যেহেতু মালদা সহ গৌড়বঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটে, ফলে চলতি মাসেই সেখানে বর্ষার বৃষ্টি পাওয়া যাবে, এখনও সেই সম্ভাবনার কথা বলার সময় আসেনি। তাছাড়া, কোনও বছর বঙ্গোপসাগর থেকে, আবার কোনও বছর আরব সাগর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটে। এবছর ছবিটা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে, উত্তরবঙ্গে এমন বৃষ্টি পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কেচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশের মতিগতিতে বৃষ্টির এমন সময়সীমা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। এই বৃষ্টির মাঝেই হয়তো প্রবেশ ঘটে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *