সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ধ্বংস ও ক্ষয়ের যে ছবি এঁকেছিল তেমনটা আর কখনও হয়নি। যার সবচেয়ে ভীতিপ্রদ ছবি এঁকেছিল হিরোশিমা-নাগাসাকির ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ মৃত্যুলীলা। যার ইঙ্গিত মিলেছিল ম্যানহাটন প্রোজেক্টেই। সেই প্রথম বিজ্ঞানীদের চোখের সামনে ভেসে উঠছিল মৃত্যুর উজ্জ্বল কমলা আলো। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিষ-মেঘের দিকে তাকিয়ে গীতার শ্লোক উচ্চারণ করে বসেছিলেন ম্যানহাটন প্রোজেক্টের সর্বময় কর্তা ওপেনহাইমার। এবার সেই ম্যানহাটন প্রোজেক্টের কথা বলতে শোনা গেল স্যাম অল্টম্যানকে। ওপেনএআইয়ের সিইও জানালেন আগস্টেই আত্মপ্রকাশ করতে চলা তাঁর সংস্থার চ্যাটবটের নতুন সংস্করণ নিয়ে তিনি নিজেই অস্বস্তিতে!
সম্প্রতি একটা পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন অল্টম্যান। সেই সময়ই তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন চ্যাটজিপিটি-৫-এর দক্ষতা নিয়ে। জানান, এমন জটিল সমস্যার সমাধান তিনি দ্রুত করতে দেখেছেন চ্যাটবটটিকে, যা তিনি নিজেও করতে পারেননি! তিনি সাফ জানাচ্ছেন, যেভাবে চ্যাটজিপিটি উন্নতি করেছে এবং ‘স্বশাসিত’ মডেল হয়ে উঠছে তা বিস্ময়কর। তিনি অবশ্য নিয়ন্ত্রণহীনতার কথা বলছেন না। বলতে চাইছেন, চ্যাটজিপিটি এমন এক জগতে ঢুকে পড়ছে যেখানে তার বৌদ্ধিক সীমানা যেন মানুষের জ্ঞানবৃত্তিকেও টপকে যাওয়ার উপক্রম করছে। আর এই প্রসঙ্গেই তিনি ম্যানহাটন প্রোজেক্টের প্রসঙ্গও তোলেন। তাঁর মতে, এখন আর এআইয়ের ক্ষেত্রে এটা বিষয় নয় যে, সে কী কী করতে পারে। বরং পরিস্থিতি এমন দাঁড়াচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কতটা করতে দেওয়া হবে, কতটা হবে না।
২০২২ সালের নভেম্বরে আত্মপ্রকাশ করেছিল চ্যাটজিপিটি। প্রথম থেকেই চমকে দিয়েছিল ওপেনএআই নির্মিত চ্যাটবটটি। খুব দ্রুতই সে মন জয় করেছে সকলের। কিন্তু এবার চ্যাটজিপিটিতে ‘বিপ্লব’ আসতে চলেছে বলে ইঙ্গিত খোদ স্রষ্টার। স্বাভাবিক ভাবেই অল্টম্যানের আশঙ্কায় ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন অনেকেই।