Chatgpt | আত্মহত্যায় উসকানি, অভিযুক্ত চ্যাটজিপিটি

Chatgpt | আত্মহত্যায় উসকানি, অভিযুক্ত চ্যাটজিপিটি

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


ওয়াশিংটন : গত এপ্রিলে আচমকাই আত্মহত্যা করে ১৬ বছরের কিশোর অ্যাডাম রেইন। শোকবিহ্বল বাবা-মা বুঝতে পারেননি কোথা থেকে কী হয়ে গেল! কী কারণে এমন চরম পথ বেছে নিতে হল তাঁদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় চিরচঞ্চল ও হাস্যোজ্জ্বল পুত্রকে! তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো দোষটা তাঁদেরই। যথেষ্ট সময় দিতে পারেননি সন্তানকে। উদ্বেগ ও একাকিত্বই হয়তো তার প্রাণ কেড়েছে।

কিন্তু তা নয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আরও ভয়ানক সত্যের মুখোমুখি হলেন পুত্রহারা দম্পতি। তাঁরা জানতে পারলেন, অ্যাডামের শেষ দিনগুলিতে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিল—না কোনও বন্ধু, শিক্ষক বা কাউন্সেলর নয়। বরং শেষ সময়ে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল কৃত্রিম মেধাভিত্তিক চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ (Chatgpt)। এই চ্যাটবটই কিশোরটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিল।

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা সংস্থা ওপেন এআই (AI) এবং এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আত্মঘাতী কিশোরের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, ক্যালিফোর্নিয়ার ওই কিশোর উদ্বেগে ভুগলেও নিজের পরিবারকে তার মনের কথা বলতে পারছিল না। তাই সে সান্ত্বনা আর পরামর্শের জন্য সাহায্য চেয়েছিল চ্যাটবটের কাছে। কিশোরের সঙ্গে আলাপ চলাকালীন ওই চ্যাটবট কার্যত কিশোরকে বিভ্রান্ত করে ‘আত্মহত্যার পরামর্শ’ দেয়।

অ্যাডামের বাবা-মা ম্যাথু ও মারিয়া তাঁদের অভিযোগে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাডামের আত্মহত্যার প্রবণতাকে সমর্থন করেছে শুধু তা-ই নয়, তাকে আত্মহত্যার বিবিধ উপায়ও বলে দিয়েছে। এমনকি আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে (suicide notice) কী লিখতে হবে, তাও কিশোরকে শিখিয়ে দেয় যত নষ্টের গোড়া এই চ্যাটবট!’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *