উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভিডিওকন গ্রুপকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল (Videocon bribe case) আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও ও এমডি (Former ICICI Financial institution CEO and MD) ছন্দা কোচরের বিরুদ্ধে (Chanda Kochhar)। এবার সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত (Responsible) হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ৩ জুলাই এক আপিল ট্রাইবিউনাল (Appellate tribunal) এই রায় দিয়েছে। কোচরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অবৈধভাবে ভিডিওকন গ্রুপকে বড় অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। আর বিনিময়ে নেওয়া ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ ছন্দার স্বামী দীপক কোচরের নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মাধ্যমে পাঠিয়েছিল ভিডিওকন গ্রুপ। এই অবৈধভাবে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ছন্দা ও তাঁর স্বামী দীপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় ভিডিওকন গ্রুপের চেয়ারম্যান বেণুগোপাল ধূতের বিরুদ্ধেও।
ট্রাইবিউনালের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, ২০০৯ সালের ২৭ অগাস্ট আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফে ভিডিওকন গ্রুপকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঠিক এরপর দিনই ভিডিওকনের অধীনস্থ সংস্থা ‘এসইপিএল’ থেকে ছন্দার স্বামী দীপকের নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ‘নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলস’কে ৬৪ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এই সংস্থাটির ভিডিওকন গ্রুপের চেয়ারম্যান বেণুগোপাল ধূতের নামে ছিল। কিন্তু সেটি আদতে পরিচালনা করতেন কোচরের স্বামী দীপকই।
তাই আদালতের জানিয়েছে, পদের অপব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের বিনিময়ে ওই বিরাট অঙ্কের ঋণ ভিডিওকনকে পাইয়ে দিয়েছিলেন ছন্দা কোচর। এমনকি আইসিআইসিআই ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ভিডিওকনকে ঋণ অনুমোদনের সময় ওই গ্রুপের সঙ্গে তাঁর স্বামীয় ব্যবসায়িক যোগের কথাও তিনি জানাননি বলে অভিযোগ।
এর আগে ইডি ছন্দা কোচর এবং তাঁর স্বামীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। কিন্তু ২০২০ সালের নভেম্বরে অন্য বিচারক কর্তৃপক্ষ সেই সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিল।
ইডি যে কোচর এবং তাঁর স্বামীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা-ও সঠিক বলে মনে করছে আদালত। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বর্তমান ট্রাইবিউনাল। আপিল ট্রাইবিউনাল কোচরদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ইডির পদক্ষেপকেই সমর্থন করেছে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তি করে ট্রাইবিউনাল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ঋণ অনুমোদন থেকে শুরু করে ঘুষ নেওয়ার প্রক্রিয়াটি স্পষ্টভাবে পদের অপব্যবহার এবং নীতিগত মান লঙ্ঘনকেই ইঙ্গিত করে।