উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু-সহ কয়েক জনের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নাম। সিবিআই জানিয়েছে, অডিও ক্লিপটির ‘সত্যতা’ যাচাই করার জন্য সেটি সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। সঞ্জয়ের সাফাই, তাঁর মক্কেলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের অভিযোগ, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।
এদিন অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় তাঁর মক্কেলকে একাধিকবার নিজেদের দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি, সিবিআই। যখনই তলব করেছে সময়মতোই হাজিরা দিয়েছেন অভিষেক। প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিয়েছেন। তারপরও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে রাজনৈতিক কারণে বারে বারে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, “ইডি ও সিবিআই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে দাখিল করতে পারেনি। তারপরও তৃতীয় চার্জশিটে স্রেফ অনুমানের ভিত্তিতে আমার মক্কেলের নাম রাখা হল। এটা হেনস্থা ছাড়া আর কী?”
আদালত সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে পার্থের নামের পাশে শিক্ষামন্ত্রী লেখা রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণের পরিচয় দিয়েছে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ‘চিফ অপারেটিং অফিসার’ হিসাবে। কিন্তু অভিষেকের নামের পাশে কোনও পরিচয় লেখা নেই। শুধু জনৈক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কে সেই অভিষেক, কী তাঁর পরিচয়, তার কোনও উল্লেখ নেই ২৮ পাতার চার্জশিটে।