উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় শোরগোল সর্বত্র। গত শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে যে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসে, তাতে পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Excessive Court docket) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ব্যর্থ বলেও জানানো হয়। কেন সেদিন একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে ছিলেন না? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) কাছে জানতে চান বিচারপতি। আদালত জানায়, মন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। এদিকে এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে কথোপকথনের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ।
শুক্রবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির সঙ্গে কার্যত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বর্ষীয়ান আইনজীবী। আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কল্যাণ বললেন, তিনি আর বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না।
এদিন বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘সেদিন মন্ত্রীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল জনতা। কতজন পিএসও জখম হয়েছেন? খবর নিন। তাহলে নিরাপত্তা দেওয়ার দরকার কি? আপনি যাই বলুন, পুলিশের দিক থেকে দুর্বলতা ছিল।’ মন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। উত্তরে কল্যাণ বলেন, ‘পুলিশের ব্যর্থতা নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রুটি। উনি (ব্রাত্য বসু) পার্টি মিটিংয়ে ঢুকেছিলেন। তখন পিএসও-দের বাইরে রাখা হয়। ওখানেও সেটাই হয়েছিল।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘হাইকোর্টে লিগাল সেল কোনও মিটিং ডাকলে, সেখানে আমি গেলে যদি এমন হয়, তাহলে পুলিশ কী করবে!’ বিচারপতি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি বুঝতাম, যদি ভিড় পুলিশকে ওভারপাওয়ার করে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছোত। এখানে সেটা হয়নি। এখানে বৈঠকে বিক্ষোভ হয়নি। বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর হয়েছে।’ মন্ত্রীর প্রোটোকলের কথাও মনে করিয়ে দেন বিচারপতি। এদিন নজিরবিহীন বাদানুবাদে শোরগোল পড়ে যায় আদালত চত্বরে।