উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ (সুপার নিউমেরারি) তৈরি করে নিয়োগ করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। যা নিয়ে মামলার জেরে রাজ্যের লিখিত বক্তব্য তলব করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Excessive Court docket) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আর এতেই চাকরি না হওয়ার আশঙ্কায় ভুগতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ গত শুক্রবার মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) চেম্বার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। চেম্বার ঘেরাও করে হেনস্তা করা হয় বিকাশ ভট্টাচার্যের জুনিয়ার আইনজীবী, ফিরদৌস শামিম, সুদীপ্ত সেনগুপ্ত সহ আরও কয়েকজনকে। এমনকি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে তার অবমাননা করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গড়ে দেন এই মামলা শোনার জন্য। সেই মামলার শুনানিতে এদিন উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, আইনজীবিদের হেনস্থা এবং বিচারপতির অবমাননার ঘটনায় তদন্ত করবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। সঙ্গে আদালতে এও জানাতে হবে, কেন অভিযুক্তদের এখনও কেন জেলে পাঠানো হল না?
এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের স্পেশাল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইনজীবীদের হেনস্তা এবং বিচারপতিকে অসম্মান আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে। অভিযুক্তরা বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ হল। ওই দিনের ঘটনায় ছবি দেখে ও খোঁজখবর নিয়ে কারা অভিযুক্ত, তার রিপোর্ট দিতে হবে পরবর্তী শুনানিতে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের যাবতীয় সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে । আগামী শুনানির দিন পুলিশের তরফে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আর পুরো বিষয়টি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নিশ্চিত করতে হবে।’ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ মে।