উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শোনা যায় অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এছাড়াও অধ্যাপকদের নিষেধ, রাজনৈতিক নেতাদের কটাক্ষ সবটা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেন তিনি। বলা ভালো তিনি যেন গোটা রাজ্যের মানুষকে দেখিয়ে দিলেন, নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta College Examination controversy) নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ হতেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তের মুখে তাই চওড়া হাসি।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের (TMCP Basis Day) দিনে পরীক্ষা হচ্ছে। তাও আবার সব প্রতিকূলতাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে। এই পরিস্থিতিতে শান্তা দত্তের মুখোমুখি হয়েছিল সংবাদ মাধ্যম। হাসিমুখে তাঁর জবাব, ‘এমনই তো হওয়ার ছিল। পরীক্ষা এমন কোনও কারণে পিছিয়ে দেওয়া হবে কেন? যেখানে পরীক্ষা দিতে পড়ুয়াদের বা তাঁদের অভিভাবকদের কোনও আপত্তি নেই। সেখানে হঠাৎ কোনও সংগঠনের কর্মসূচির জন্য এমন হওয়া তো ঠিক নয়। পরীক্ষা কি কোনও পিকনিক নাকি? বিশ্ববিদ্যালয় তার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে। পরীক্ষায় বসা পড়ুয়ার দায়িত্ব, অধ্যক্ষ যদি চিঠি ফরওয়ার্ড করে দেন, তবে শিক্ষায় ডিসিপ্লিন বলে কিছু থাকবে না।’
তবে এই পরীক্ষা নেওয়া যে এত সহজ ছিল না, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়ে তিনি আরও বলেন, সুরেন্দ্রনাথ, বঙ্গবাসী সহ আরও অনেক কলেজের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল ২৮ অগাস্টের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি তা শুনিনি। আমি তো উপাচার্য হওয়ার আগে ডিন ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কাজও বহু দিন করেছি। তখন থেকেই লক্ষ্য করেছি, অটোনমি বা স্বতন্ত্রতা শুধু বইয়ের পাতাতেই লেখা রয়েছে। কিন্তু এই ১৬৮ বছর পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতাটাও কোনও একটা বইয়ের পাতায় থেকে যাবে, তা হতে পারে?’