রূপক সরকার, বালুরঘাট: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বিজিবির বাধার মুখে পড়ল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ভুলকিপুর সীমান্তে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই বিএসএফের ১২৩ ব্যাটেলিয়নের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। অরক্ষিত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি- বিএসএফের আলোচনা চলছে।
বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে ভুলকিপুর গ্রাম। সেখানে প্রায় ৫৭টি কৃষিজীবী আদিবাসী পরিবারের বাস। ওখানে এখনও সীমান্তের কয়েকশো মিটার কাঁটাতারের বেড়া বিহীন। সেই জায়গা ঘেরা এবং ওপারে থাকা ভারতীয় গ্রামকে মূল ভূখণ্ডে রাখতে গ্রামটির ওপার দিয়ে কাঁটাতার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএসএফ।
গত জানুয়ারি মাসে খুঁটি পোঁতার কথা ছিল বিএসএফের। ঠিকাদার কাজ শুরু করতেই তা আটকে দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, চাষের জমি নষ্ট করে নয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ও অব্যবহৃত জমিতে কাঁটাতার দেওয়া হোক। এতে একদিকে যেমন তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে, ঠিক তেমন জমির ক্ষতিও হবে না। পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা সেই নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর আজ ওই এলাকায় বিএসএফের তরফে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কিন্তু এদিন সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে তা বন্ধ করে দেয় বিজিবি। তাদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে কোনওরকম নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই সীমান্তে কাঁটাতার কোনওভাবেই দেওয়া যাবে না। উত্তেজনা তৈরি হতেই ঘটনাস্থলে যান বিএসএফের আধিকারিকরা।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হেমন্ত মুর্মু বলেন, ‘বিজিবি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, বিএসএফ কাউওকে সীমান্তে যেতে দিচ্ছে না।’
অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীদের বলেছি, তারা যাতে কোনও প্ররোচনায় পা না দেন এবং বিএসএফকে সহযোগিতার করেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে বালুরঘাটের শিবরামপুরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাধা দিয়েছিল বিজিবি। সেই ঘটনাতেও ছড়িয়েছিল উত্তেজনা।