হেমতাবাদ: গরু, মাদক থেকে শুরু করে জালনোট, পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে হেমতাবাদ(Hemtabad) থানার মাকরহাট এলাকা। চোরাকারবারীদের লাগামহীন দৌরাত্ম্যের সঙ্গে বাংলাদেশি ফসল লুটেরাদের চোখরাঙানিও অব্যাহত। আর এরই মাঝে, বাংলাদেশের দিক থেকে বয়ে আসা আসা কুলিক নদীর কালভার্ট দখল করা ও সুরঙ্গ তৈরি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যে থেকেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের দুই পাড়ের গ্রামে। বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিএসএফ ও বিজিবির( জওয়ানদেরও। এই সময় বিএসএফ(BSF)-এর পাশে দাড়াতে দেখা যায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত গ্রামের বাসিন্দাদের।
হেমতাবাদ থানার মাকরহাট এলাকায় সীমান্তের ওপারে রয়েছে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ, হরিপুর এলাকা। সূত্রের খবর, এই ভৌগলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়েই ওখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি পাচারকারীরা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষক বাবলু মণ্ডল বলেন, ‘বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এসে কুলিক নদীর উপর কালভার্টের মধ্যে সুড়ঙ্গ কেটে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। কালভার্টের নীচে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় রাতে গরু, মোষ চুরি করে নিয়ে যায় ওপারের দুষ্কৃতীরা।”
বাংলাদেশ সীমানা ঘেঁষা ভারতীয় জমিতে মরশুমি শস্য চাষ করে পরিবার চালান ঝরু মহম্মদ। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা জমির ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। জমিতে ধান পাকতে শুরু করলেই ওরা রাতের অন্ধকারে জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বিজিবির(BGB) প্রচ্ছন্ন মদতেই এমন ঘটনাগুলি ঘটছে। এই বিষয়ে বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ‘শুধু হেমতাবাদেই নয়, সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়ে কাঁটাতার বিহীন এলাকায় কাঁটাতার লাগাতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ও বিজিবি। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিএসএফের সঙ্গে গন্ডগোল পাকিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যখন বিএসএফের আধিকারিক ও জওয়ানরা এই গন্ডগোল সামলাতে ব্যস্ত থাকে, সেই ফাঁকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে।’