BSF | উত্তরবঙ্গে ঝটিকা সফরে বিএসএফের এডিজি, বাংলাদেশ সীমান্তেও নজর

BSF | উত্তরবঙ্গে ঝটিকা সফরে বিএসএফের এডিজি, বাংলাদেশ সীমান্তেও নজর

ব্লগ/BLOG
Spread the love


শিলিগুড়ি ও মেখলিগঞ্জ: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উত্তেজনার আঁচ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) এখনও দুই দেশের সীমারেখায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার উন্মুক্ত রয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিক দিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ। এই ফাঁক গলেই বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে পাক জঙ্গিরা প্রবেশ করতে পারে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির আশঙ্কা। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় এডিজি মহেশকুমার আগরওয়াল। এদিন প্রথমে তিনি নর্থবেঙ্গল ফন্ট্রিয়ারের সদর কার্যালয় কদমতলায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকটিতে বর্তমান পরিস্থিতি, আশঙ্কার কারণগুলি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোন ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে, এমন নানান বিষয়ে আলোচনা হয়। তিনবিঘা করিডর পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও আলাদাভাবে তিনি আলোচনা করেছেন বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।

পহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কড়া প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবমিলিয়ে যুদ্ধের আবহ। এমন পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। যা স্পষ্ট বিএসএফের (BSF) পূর্বাঞ্চলীয় এডিজির ঝটিকা সফরে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কদমতলার বৈঠকে ভারতীয় সেনার হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনার নানান দিক নিয়ে আলোচনা হয়। পাকিস্তান বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারে বলেও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে কী কী করতে হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন এডিজি। নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা, উন্নতমানের সিসিটিভি ও অন্যান্য নজরদারি সরঞ্জাম দিয়ে দিনরাত সীমান্তে নজরদারি রাখা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কোথায় কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, তা এডিজিকে বিশদে জানান নর্থবেঙ্গল ফন্ট্রিয়ারের আইজি মুকেশ ত্যাগী। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তা, মহানন্দার মতো নদীগুলির ওপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এডিজি।

এদিন শিলিগুড়ির কদমতলায় বৈঠকের পরই এডিজি বিএসএফের হেলিকপ্টারে পৌঁছান তিনবিঘায়। ভীম সীমাচৌকিতে বিএসএফ জওয়ান ও আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘসময় বৈঠক করেন তিনি। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের প্রায় ১৮ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পায়। গুরুত্ব পেয়েছে সীমান্তের চোরাচালান কারবারও। যে কোনও মূল্যে চোরাচালান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এডিজি। তবে এডিজির এদিনের সফর বা বৈঠক নিয়ে বিএসএফের কোনও শীর্ষকর্তাই মুখ খোলেননি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর এডিজি মহেশকুমার আগরওয়ালের এটাই প্রথম উত্তরবঙ্গ সফর। বৈঠকটি রুটিন পর্যায়ের।

অন্যদিকে, সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি সীমান্তে এক ভারতীয় কৃষককে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা টেনে নিয়ে যায়। যা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার বিকেলে ছোট কুচলিবাড়ি গ্রামে বিএসএফ ও পুলিশের তরফে যৌথ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেখলিগঞ্জ সার্কেলের ইনস্পেকটর ভাস্কর প্রধান, কুচলিবাড়ি থানার ওসি ভাস্কর রায় এবং বিএসএফের বিআরকে বাড়ি সীমাচৌকির আধিকারিকরা। ছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, তা বুঝিয়ে দেন প্রশাসনিক কর্তারা। সীমান্তবর্তী গ্রামে চলাচল সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকাও জারি করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *