সামসী: রক্ত মানে না জাতপাত। প্রাণ বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন পড়লে মানুষ তখন ভুলে যায় কে কোন জাতের। অথচ ধর্মের লড়াই বিশ্বজুড়ে। এরমাঝেই এক হিন্দু রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন এক এক মুসলিম ছাত্রী। সেই সঙ্গে তিনি দিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা।
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ। কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটির স্বার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা। এর মাঝেই রক্তদানের মধ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন এক কলেজ ছাত্রী মুসকান পারভিন। জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অধীন ইসলামপুরের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী ফনি সাহা আক্রান্ত থ্যালাসেমিয়া রোগে। চিকিৎসার জন্য তিনি বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর এবি নেগেটিভ এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন পড়ে। তাঁকে রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন মুসকান। তিনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে এক ইউনিট রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচান।
হরিশ্চন্দ্রপুরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা মুসকান পারভিন চাঁচল কলেজের ছাত্রী। জাতি বা ধর্মের কথা না ভেবে রক্তদানে এগিয়ে আসায় সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেয়েটি। তিনি বলেন, ‘রক্তদান একটি মহৎকর্ম। এমন কাজে হিন্দু-মুসলিম ধর্মের বিভেদ আনা অন্যায়। প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন রক্তের, জাতপাতের নয়। আমি কোনও হিন্দু ব্যক্তির প্রাণ বাঁচাইনি, প্রাণ বাঁচিয়েছি এক মুমূর্ষ রোগীর। সকলেরই উচিত জাতপাত না ভেবে এগিয়ে আসা রক্তদানে।’