ঘোকসাডাঙ্গা: স্টেশনে টিকিট কাটতে আসা বিজেপি (BJP) বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। শুধু বিক্ষোভই নয় বিধায়কের গাড়িতে ভাঙচুর ও বিধায়কের দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোনক্রমে বিজেপি বিধায়ক তার গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে থানায় যান।
২১ শে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ। আর আজ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করেছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। ফলে এদিন ঘোকসাডাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেসে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেই সময় ঘোকসাডাঙ্গা রেল স্টেশনে টিকিট কাটতে আসেন এই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন। আর বিজেপি বিধায়কের গাড়ি দেখে তৃণমূল অনুন্নয়ন ও এনআরসির নাম করে কোচবিহারের এক বাসিন্দাকে হেনস্তার অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খোকন দে, তৃণমূল নেতা সাবলু বর্মন, জেলা যুব সভাপতি স্বপন বর্মন, যুব নেতা কমলেশ অধিকারী সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়কের গাড়ির চারদিকে ঘিরে ধরে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেইসময় বিধায়কের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে হটিয়ে কোনও রকমে গাড়ি বের করার চেষ্টা শুরু করে। বিধায়কের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা কর্মীদের হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। বিধায়কের এক নিরাপত্তারক্ষীকে পোশাক ছিড়ে মারধর করা হয়। বিধায়কের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনার পর উলটে তৃণমূল নেতৃত্বই বিধায়কের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে তাদের মারধরের অভিযোগ তুলে উলটে তৃণমূলই থানার সামনে আন্দোলন শুরু করে। বিজেপি বিধায়কের গ্রেপ্তার করার দাবিও জানায় তৃণমূল। বিজেপি বিধায়ক সুশীল চন্দ্র বর্মণ জানান, তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২০২৬ সালে পরাজয়ের আতঙ্ক থেকে তৃণমূল এমনটা করছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন জানান, ‘বিজেপি বিধায়ককে দেখতে পেয়ে আমরা বিক্ষোভ, স্লোগান দেই, সেই সময় বিধায়কের দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তা রক্ষী কয়েকজন কে মারধর করে। আমরা বিজেপি বিধায়কের গ্রেপ্তার সহ গোটা বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’