উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কসবাকাণ্ডে বিজেপির (Bjp) তথ্যানুসন্ধানী দলের (Reality Discovering Staff) প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য প্রশাসন। সোমবার বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং ছাড়াও বিজেপি সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্রকে নিয়ে জেপি নাড্ডার গড়ে দেওয়া তথ্যানুসন্ধানী দল কলকাতায় এসে লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর প্রতিনিধি দলটি যায় ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে ফিরে সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে ধরেন দলের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। ৪-৫ টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ একবার গ্রেপ্তারও করেছে, তা সত্ত্বেও তাহলে সেই ব্যক্তি কীভাবে ল কলেজের কোনও পদে আসে? কে তাঁকে আনল, সেই প্রশ্নও তুলেছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এদিন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সরাসরি রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে কোনও নারী সুরক্ষিত নয়। এমন অনেক ঘটনা ঘটে তাদের তো এফআইআর-ই দায়ের হয় না। আর যেগুলি হয়, তাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’
যদিও এই তথ্যানুসন্ধানী দল নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল (Tmc)। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে ফ্যাক্ট খুঁজতে কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যায় না? সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘খুব ভাল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে। কিন্তু এটা কেবল এখানেই আসতে পারে। কিন্তু ওড়িশা… যেখানে ১০ দিনে পাঁচটা নির্যাতনের মামলা, কই সেখানে তো ফ্যাক্ট খুঁজতে কেউ যান না? ’
এদিন বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল কসবার কলেজে গেলে সেখানেও প্রতিবাদীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের বক্তব্য ধর্ষণের প্রতিবাদ করার নৈতিক অধিকার নেই বিজেপির। হাথরস থেকে উন্নাও বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে নারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে বিক্ষোভ দেখান অনেক প্রতিবাদী। তাদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের একাংশের বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।