উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া মানেই নাগরিকত্ব সংকটে নয়, শীর্ষ আদালতে এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য সমীক্ষায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং র্যাশন কার্ড ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে কমিশনের। হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানিয়েছে তারা। কেন আপত্তি রয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে তারা। একই সঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া মানেই তিনি ভারতের নাগরিকত্ব খোয়াচ্ছেন, এমনটাও নয়।
সামনে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য রাজ্যটিতে বিশেষ সমীক্ষা চালাচ্ছে কমিশন। নথি হিসেবে দেখাতে হচ্ছে নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র। আধার বা র্যাশন কার্ডের মতো নথি এ ক্ষেত্রে বিবেচিত হচ্ছে না। তা নিয়েই মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ১০ জুলাইয়ের শুনানিতে কমিশনের সমীক্ষার কাজে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে আধার, ভোটার এবং র্যাশন কার্ড এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছিল কমিশনকে।
এবিষয়ে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই ভোটার কার্ড তৈরি হয়। এখন যেহেতু ভোটার তালিকাই সংশোধন করা হচ্ছে, তাই ভোটার কার্ডকে কোনও নথি হিসাবে দেখানো নিরর্থক। সমীক্ষায় আধার কার্ড কেন গ্রহণ করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারীরা। হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, আধার শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ। কিন্তু এটি কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। তাদের বক্তব্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে যে আধার কার্ডগুলি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কীকরণও দেওয়া রয়েছে। র্যাশন কার্ড নিয়েও সমস্যার কথা হলফনামায় জানিয়েছে কমিশন। তাদের বক্তব্য, দেশে প্রচুর ভুয়ো রেশ কার্ড ছড়িয়ে রয়েছে। তাই এটির উপর পুরোপুরি ভরসা করা যায় না।