বিধাননগর: লড়াই করে চাকরি পেয়েও,আইনের লড়াইয়ে হেরে যেতে বসেছেন বিধাননগর কুরবান আলি হাইস্কুলের ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষক সায়নগম ভাওয়াল। ক্যান্সারের চিকিৎসা কীভাবে করাবেন সেই চিন্তাই এখন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর শান্তিপাড়ার বাসিন্দা এই শিক্ষককে। সুপ্রিম রায়ে ২৬ হাজার চাকরি হারানোদের মধ্যে নাম থাকলেও, সোমা দাসের মতো চাকরি অব্যাহত রাখার আর্জি জানাচ্ছেন তিনি।
ছোট থেকে নকশালবাড়িতে বেড়ে ওঠা সায়নগম। এরপর শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল, শিলিগুড়ি কলেজের পড়া শেষ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। মাঝে বাগডোগরার একটি কলেজ এবং আর্মি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন। এনডিএতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন বিধাননগরের এই শিক্ষক। পরে, অবশ্য সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)পরীক্ষা দিয়ে, ২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগ দেন।
এদিন আক্ষেপের সুরে সায়নগম বললেন, ‘ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলেছি। তবে, এই লড়াই আরও অনেক কঠিন৷ এত শিক্ষকের চাকরি গেলেও, ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আমার চাকরির বিবেচনা করুক। সেইসঙ্গে যোগ্যদের সুবিচার দেওয়া হোক।’